
নির্বাচন মিটতেই আক্রান্ত হলেন মৃত ছাত্র নেতা আনিস খানের আত্মীয়রা। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে তাঁদের (আনিসের আত্মীয়) মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠছে।
ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার আমতায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আনিস খানের দাদা ও মামা সিপিআইএম-র টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। প্রথম থেকেই তাঁদের অভিযোগ ছিল তৃণমূলের তরফ থেকে বার বার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভোট মিটতেই সেই একই অভিযোগ করলেন আনিসের দাদা সামসুদ্দিন খান। তিনি বলেন, তাঁর বাবাকে মারধর করা হয়েছিল নির্বাচনের দিন। আর নির্বাচনের পরের দিন তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে প্রায় ৪০-৫০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতি হামলা চালায়। বাড়ির প্রচুর জিনিসপত্র রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। এমনকি স্থানীয় একতি ক্লাবের সিসিটিভিও ভেঙে দেওয়া হয় প্রমাণ লোপাটের জন্য।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের দিন তৃণমূল অবাধে ছাপ্পা মারছিল। সেই সময় তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। সম্ভবত সেই কারণেই আক্রমণ চালিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। আতঙ্কে ওই আত্মীয় সহ পাড়ার অন্যান্যরাও ঘরছাড়া রয়েছে। বাড়ি ফিরলেই তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ফের আক্রমণ করতে পারে বলেই মনে করছেন তাঁরা। পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। ঘটনাস্থলে অনেক দেরিতে পুলিশ আসে।
সামসুদ্দিন খান পঞ্চায়েত সমিতির ৪২ নম্বর আসনে প্রার্থী। আর আনিসের মামা কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৬ নম্বর বুথের প্রার্থী। এই পঞ্চায়েতে মোট ১৪টি আসন। ১৩টি আসনে প্রার্থী দেয় বামেরা এবং ১টি আসনে প্রার্থী দেয় কংগ্রেস।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব আনিসের দাদার সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, কেউ বাড়ি ভাঙচুর করেনি। আনিসের পরিবার ইচ্ছা করে মিথ্যা অভিযোগ করছে। নির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনেই এমন কথা বলছে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন