

বদলির নির্দেশের প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে পাঁচ শিক্ষিকার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনার রেশ এখনো কমেনি। এরই মাঝে আরো পাঁচ শিক্ষিকাকে বদলির নোটিশ পাঠালো রাজ্য সরকার। এঁরাও শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা। গতকাল সন্ধ্যায় এঁদের বদলির নোটিশ ধরানো হয়।
এই পাঁচ শিক্ষিকার বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। এঁদের নাম আরতি সেনগুপ্ত, অসীমা বড়াল মন্ডল, মিনা কর্মকার, সুপ্রিয়া সিকদার, ও শিপ্রা সরখেল সাহা। এঁদের যথাক্রমে দিনহাটা, ঝাড়গ্রাম, গঙ্গারামপুর, এগ্রা ও মাল তে বদলি করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জেরে এই বদলি করা হয়েছে।
সম্প্রতি দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে বদলির নির্দেশের প্রতিবাদে বিকাশভবনের সামনে আন্দোলনে নেমে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঁচ শিক্ষিকা। যাঁদের মধ্যে দুইজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় এন আর এস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারপর বুধবার সন্ধ্যায় আরো পাঁচ শিক্ষিকাকে বদলির নোটিশ ধরালো সরকার।
রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি শিক্ষা সেল। সেলের আহ্বায়ক দীপল বিশ্বাস বলেন, যেখানে রাজ্য সরকার ও জাতীয় শিক্ষানীতির ঘোষিত নীতি হলো বাড়ির কাছাকাছি পোস্টিং। সেখানে রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত অনৈতিক। কোনো সমাধান না করে, পাঁচজনের মতো আরও সকলকে একই পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা চরম ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন