ভবানীপুরে উপনির্বাচন মেটার আগেই সন্ধির তাল ভাঙল কংগ্রেসের। কারণ, 'জাগো বাংলা'য় তৃণমূল সুপ্রিমোর নিজের দলকে 'আসল কংগ্রেস', 'পচা ডোবা' ইত্যাদি-সহ বেশ কিছু কথা ব্যবহার করায়। বিজেপি-বিরোধী ঐক্য গড়তে যতই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করুন না কেন, তিনি কংগ্রেসকে ক্ষয়িষ্ণু বলতেও দ্বিধা করেননি। তৃণমূলের কাছে মূল শত্রু নরেন্দ্র মোদী না রাহুল গাঁধী, সেই প্রশ্নও ফের সামনে এল। এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেসও কৌশল বদলে পাল্টা জবাব দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছে।
বৃহত্তর জোটের অঙ্ক কষে ভবানীপুরে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। প্রচারও করছে না তারা। কিন্তু সেই সন্ধির সুর কেটে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধারাবাহিক ভাবে কংগ্রেসকে আক্রমণ করছেন। এই আক্রমণের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ এসেছে এআইসিসি-র তরফে। ‘সক্রিয়’ হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
শাসক দলের দৈনিক মুখপত্রে সম্পাদকীয়ের ভাষায়, এটাই (তৃণমূল) মহাসমুদ্র। পচাডোবা আজ অপ্রাসঙ্গিক’। সেখানে আরও বলা হয়েছে, কংগ্রেসরে ঐতিহ্য নিয়ে তারাই যদি আসল কংগ্রেস হয়ে উঠতে পারে, তা হলে সারা দেশে কংগ্রেসের যা ভূমিকা ছিল, তারাই তা পালন করবে। এর মধ্যে কোনও ‘ইগো’ নেই। উপনির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘কংগ্রেস বিজেপিকে ভয় পায়! তাই কখনও কখনও সমঝোতায় আসে। মমতা কাউকে ভয় পায় না!'
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, ‘ওঁরা মোদির বিরুদ্ধে লড়ছেন, না রাহুল গান্ধীদের বিরুদ্ধে, সেটাই ঠিক নেই! কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বললে বিজেপি যে সবচেয়ে খুশি হবে, এতে সংশয় নেই।’ একই সুর সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরও। তিনি বলছেন, ‘মুখে বিজেপি-বিরোধী ঐক্যের কথা বলে কার্যক্ষেত্রে বিরোধী ঐক্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এতে লাভ হচ্ছে বিজেপির।’
অধীরবাবুর কথায়, ‘দেশের ১৯টা বিরোধী দল মিলে বিজেপির বিরুদ্ধে যৌথ কর্মসূচি নিল, যেটা ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হল। আর সেই সময়ে তৃণমূলের টানা বিষোদগার শুরু হল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ইডি-র দফতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করার পর থেকেই কংগ্রেসকে খারাপ লাগতে শুরু করল!'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।