

বাগুইআটি জোড়া খুনকাণ্ডে ইতিমধ্যেই রাজ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। এর মধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, নিহত দুই ছাত্র ড্রাগ নিত। তৃণমূল নেতার এমন মন্তব্যে কার্যত ক্ষুব্ধ হয়েছে স্থানীয়দের একাংশ।
বেশকিছুদিন ধরেই সৌগত রায়ের একের পর এক মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে এবারের মন্তব্য বিতর্কে অন্যমাত্রা এনে দিয়েছে। রবিবার তিনি বলেন, যে দুই ছাত্রকে খুন করা হয়েছে তারা দু’জনেই মাদকদ্রব্য সেবন করত। N-10 জাতীয় ট্যাবলেট খেত। তিনি এও বলেন দিন দিন ছেলেরা ভুল পথ বেছে নিচ্ছে। আমরা চাই ঐসমস্ত ছেলে মেয়েদের অবক্ষয় থেকে ফিরিয়ে আনতে। সাংসদের এমন মন্তব্যে অনেকেই আপত্তি জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে একজন বলেন, সৌগত বাবু একজন শিক্ষিত মানুষ। তাঁর মুখ থেকে এইসব কথা মানায় না। তিনি তাহলে কী বোঝাতে চাইছেন? কেউ মাদকাসক্ত হলেই তাকে খুন হয়ে যেতে হবে! সাধারণ মানুষ চায় নিরাপত্তা। সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ১৪ দিন পর মেলে অতনু ও অভিষেকের মৃতদেহ। পুরো বিষয়টিতে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা সামনে আসতেই বাগুইআটির ওসি কল্লোল ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তভার যায় সিআইডির ওপর। সিআইডির তৎপরতায় হাওড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
