রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক! থানার পাশে মাটি ফেলে অবৈধভাবে পার্ক তৈরী করা হচ্ছে। এই অভিযোগে, ওসি-বিডিওর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ৭ দিনের মধ্যে কাজ না হলে কীভাবে সোজা করতে হয় জানিয়ে দেব, এই বলে ওসি-বিডিওকে কার্যত ডেডলাইন দিলেন হুমায়ুন।
শনিবার রাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভরতপুর থানা চত্বর। দরজা ভেঙে থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ওসি-বিডিওর বিরুদ্ধে বিক্ষোভস্থল থেকে হুঁশিয়ারি দেন হুমায়ুন।
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে অবৈধভাবে পুকুর বোঝাইয়ের বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন কবীর। পাশাপাশি আরও বলেছেন, ৭ দিনের মধ্যে সুরাহা না হলে তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন।
হুমায়ুনের অভিযোগ, "পুকুরে, খালে-বিলে কোনও দিন রায়াত না পাল্টে ভিটে না করে কোনও কন্সট্রাকশন করা যায় না। ওসি তাঁর গায়ের জোরে ৫০ জন লেবার মিস্ত্রি, জেসিপি নিয়ে পুকুরের উপরে প্রাচীর দিচ্ছেন। এলাকার ব্লক সভাপতি ফোন করেছে, তাঁর ফোন ওঠায়নি। আমি বিধায়ক, আমাকেও জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। এখানে তৃণমূলকে উনি ওসির ক্ষমতা দেখাচ্ছেন।"
তৃণমূল বিধায়কের আরও অভিযোগ, ভরতপুরের ওসি নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। পুলিশ সুপারকে অনেকবার বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। বিডিও-র বিরুদ্ধেও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাও কোনও লাভ হয়নি। বিডিও যেভাবে কাজ করছেন তা যেন স্থানীয় মস্তানদের মতো।
বিধায়কের কথায়, থানার ওসি রাজু মুখার্জি প্রধানমন্ত্রীর মতো বিভিন্নভাবে বলছিলেন মমতা ব্যানার্জী ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে পারবে না। বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে।
তবে, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ওসি-বিডিওর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন