Bankura: নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

People's Reporter: বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের তৃণমূল নেতা সত্যনারায়ণ মিশ্র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদ এবং কর্মাধ্যক্ষের পদে রয়েছেন। এক কিশোরীকে সাতদিন ঘরে আটকে রেখে লাগাতার যৌন নির্যাতন করেছেন তিনি।
নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ছবি - প্রতীকী
Published on

আর জি কর কাণ্ড নিয়ে গোটা রাজ্য তোলপাড়। এরই মাঝে এক নাবালিকাকে ঘরে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, বিভিন্ন মিডিয়া সূত্রে এমন জানা যাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকে। নির্যাতিতা ওই কিশোরী দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী বলে জানা গেছে। ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গেছে, বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের তৃণমূল নেতা সত্যনারায়ণ মিশ্র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদ এবং কর্মাধ্যক্ষের পদে রয়েছেন। নির্যাতিতার বাবা ওই তৃণমূল নেতার গাড়ির চালক ছিলেন। সে সুবাদে নির্যাতিতা তৃণমূল নেতাকে দাদু বলে ডাকতেন।

আরও জানা যায়, সত্যনারায়ণ মিশ্র ওই কিশোরীকে সাতদিন ঘরে আটকে রেখে লাগাতার যৌন নির্যাতন করেছেন। মেয়েটি তাঁর পরিবারকে সেই কথা জানালে, পরিবারের লোকজন সোনামুখী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। 

অভিযোগ দায়েরের পরেই ওই নেতাকে গ্রেফতার করেছে সোনামুখী থানার পুলিশ। ঘটনা জানাজানি হতেই তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি, তাঁর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদ এবং কর্মাধ্যক্ষের পদ যাতে খারিজ করা হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগষ্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলা চিকিৎসকের ক্ষত-বিক্ষত দেহ। এই ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য-দেশ। বিচার চেয়ে গত একমাস ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন রাজ্যের সরকারি এবং মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। পথে নেমেছেন আম জনতা। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীনে।

নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
RG Kar Case: সমস্ত বাম কর্মীদের জেলে ঢুকিয়ে দিলেও এই আন্দোলন কেউ থামাতে পারবে না - মীনাক্ষী মুখার্জি

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in