TMC: পয়সা দিলে তৃণমূলে পদ পাওয়া যায়, বিস্ফোরক বনগাঁর প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান

স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, 'মালটু দিলে তৃণমূলে পদ পাওয়া যায়। পয়সা ছাড়া এখানে কোনও দাম নেই।’ প্রসঙ্গত, কৃষ্ণা রায় ৬ বারের কাউন্সিলর, ৩ বারের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান।
কৃষ্ণা রায়
কৃষ্ণা রায়ছবি - কৃষ্ণা রায় ফেসবুক প্রোফাইল
Published on

তৃণমূলে পদ পেতে গেলে পয়সা লাগে। তা না হলে কিছু হয় না। পুরসভা নির্বাচনের পর এরকমই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণা রায়। গোটা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় যখন একে একে শপথগ্রহণ পর্ব চলছে, প্রায় দিনই কোনও না কোনও জায়গা থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে চলে আসছে।

নির্বাচনের আগে ও পরে সমানতালে এই ধরনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। বনগাঁ পুরসভাও তার ব্যতিক্রম হল না। এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, 'মালটু দিলে তৃণমূলে পদ পাওয়া যায়। পয়সা ছাড়া এখানে কোনও দাম নেই।’ প্রসঙ্গত, কৃষ্ণা রায় ৬ বারের কাউন্সিলর, ৩ বারের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান।

কৃষ্ণা রায় প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান। এবারে পুরসভা নির্বাচনে বনগাঁ পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনিও তৃণমূলের হয়ে জয়ী হন। অন্যদিকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন তাঁর বৌমা টুম্পা রায়। সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল এখানেই। একই পরিবার থেকে দুজন প্রার্থী হওয়ায়। একই পরিবারের দু'জন প্রার্থী কেন, তা নিয়ে ভোটের আগে তৃণমূলের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। তা নিয়ে দলের অন্দরে যথেষ্ট বাকবিতন্ডাও চলে। যদিও পুরভোটের রেজাল্টে দেখা গেল দুই প্রার্থী জিতেছেন।

বুধবার বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান-সহ অন্যান্য কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে এসেছিলেন কৃষ্ণা রায়ও। এবারও তিনি চেয়ারম্যান পদের অন্যতম দাবিদার ছিলেন। যদিও শেষপর্যন্ত কোনও পদই পাননি কৃষ্ণা। তাঁর বদলে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিলেন গোপাল শেঠ। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান জোৎস্না আঢ্য। সম্ভবত পদ না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন বর্ষীয়ান নেত্রী। বনগাঁয় আপাতত আড়াআড়ি বিভক্ত জোড়াফুল শিবির।

কৃষ্ণা রায়
TMC: জোর করে জমি দখল করে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in