

এবার অপহরণ করার অভিযোগে গ্রেফতার বারাসাতের তৃণমূল কাউন্সিলর। ত্রিপুরার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বিরাট অঙ্কের মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধৃত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বারাসাতের বাড়ি থেকে কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ধৃতের কাউন্সিলর পদ খারিজের দাবিতে পথে নেমেছেন বামেরা।
ধৃত বারাসাত পুরসভার ২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দার। পুলিশ সূত্রে খবর, ২ সেপ্টেম্বর খড়দার অভিজাত আবাসনের পার্কিং লট থেকে অপহরণ করা হয় ত্রিপুরার ব্যবসায়ীকে। ওই ব্যবসায়ী তাঁর বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। জানা যায়, ওই ব্যবসায়ীর ভাই এবং তাঁর বান্ধবীর কাছে ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে।
এরপরেই সোদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ও সিআইডি এই ঘটনার তদন্তে নামে। মিলন সর্দারের আগে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সাত জন মিলন সর্দারের সহযোগী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই তৃণমূল কাউন্সিলরের খোঁজ পায় পুলিশ বলে জানা গেছে সূত্র মারফত। মিলন সর্দারই এই অপহরণের মূল অভিযুক্ত।
জানা গেছে, অপহরণ করে ওই ব্যবসায়ীকে বারাসাতের যশোর রোডের ধারে একটি আবাসনে রাখা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে সিআইডি আধিকারিকরা। ওই ব্যবসায়ীকে আহত অবস্থায় বারাসাত থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে খবর। আরও জানা গেছে, এর আগেও ওই ব্যবসায়ীকে বেশ কয়েক বার অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। মিলন সর্দারই সেই সব ঘটনার মূল অভিযুক্ত ছিলেন বলে খবর।
অন্যদিকে মিলন সর্দারের কাউন্সিলর পদ খারিজের দাবিতে পথে নেমেছে বামেরা। শনিবার বারাসত পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। সেই সভা থেকেই বাম নেতৃত্ব মিলনের কাউন্সিলর পদ খারিজের দাবিতে সরব হয়েছেন। পরে, বামেদের এক প্রতিনিধিদল পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে তাঁর কাছে স্মারকলিপিও দেন। এই বিষয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দার বারাসতের লজ্জা। তৃণমূল নেতারা সবকিছুই জানতেন ওর অপকর্মের বিষয়ে। এখন পিঠ বাঁচাতে তাঁরা দলীয় কাউন্সিলরের থেকে দূরত্ব তৈরি করছেন। ওকে শুধু শাস্তি দিলেই হবে না। মিলন সর্দারের কাউন্সিলর পদও খারিজ করতে হবে।''
ইতিমধ্যেই মিলন সর্দারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি কাকলি ঘোষ দস্তিদার। গোটা ঘটনাটি শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন