‘উত্তরবঙ্গে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি’ - এবার পৃথক রাজ্যের দাবি নাগরাকাটার BJP বিধায়কের

নাগরাকাটার বিধায়কের দাবি, স্বাধীনতার পর থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত। এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে সওয়াল করেছেন তিনি।
পুনা ভেঙরা
পুনা ভেঙরাফাইল চিত্র

আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের পর এবার বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপি বিধায়ক পুনা ভেঙরা। বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রের শীর্ষ নেতৃত্ব যতই এই দাবিকে অস্বীকার করুক, বা আলোচনার বিষয় নয় বলে এড়িয়ে যাক, সাংসদ, বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্যে দলের অন্দরে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে।

নাগরাকাটার বিধায়কের দাবি, স্বাধীনতার পর থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত। এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে সওয়াল করেছেন তিনি। বিধায়ক বলেন, 'উত্তরবঙ্গে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। যদি উন্নয়ন হত, তাহলে এখানকার মানুষ এই আওয়াজ তুলত না। যে দাবি তুলেছেন, তা শুধু ওঁর দাবি নয়, গোটা এলাকার মানুষের দাবি।'

উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার দাবি জানিয়ে কয়েকদিন আগে জন বারলা বলেছিলেন, 'উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে দেখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আবেদন জানাব।' তবে এই মন্তব্যকে ব্যক্তিগত মতামত বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিন। অবশ্য পরবর্তীকালে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বলেছিলেন- 'বিজেপি এ-ধরনের কোনও দাবিতে বিশ্বাস করে না।'

একইভাবে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, 'পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে বলব, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বহিরাগত শব্দ এনেছেন, তাতে এই দাবি উঠবেই। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ৫০ কিমির মধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী রয়েছেন। আমাদের এলাকার মানুষ বঞ্চিত। রাঢ়বঙ্গের যুবকদের চাকরি নেই। আগামী দিনে রাঢ়বঙ্গ থেকেও দাবি উঠবে।'

এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন- ‘যাঁরা পৃথক রাজ্যের কথা বলেছেন, তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত মত দিয়েছেন। পশ্চিমভঙ্গ ভাগ নিয়ে দলের মত জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি, আমার বক্তব্য সেটাই। দল রাজ্য ভাগের কথা বলেনি। ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য ভাগের পক্ষের মত নেই।’

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in