
করোনা মোকাবিলায় সরকারের অপদার্থতা চাপা দিতে মানুষের নজর অন্যত্র ঘুরিয়ে দিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই এই কাজ করা হয়েছে। নারদ মামলায় সিবিআই-এর হাতে রাজ্যের চার নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারের ঘটনায় এই মন্তব্য করেছেন সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
সোমবার নারদ মামলায় রাজ্যের বর্তমান দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ও পরে বিজেপি ছেড়ে দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর প্রতিবাদে রাজ্যের সর্বত্র বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে সিপিআইএমের তরফ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীতে যখন সারা দেশের মানুষের জীবন, জীবিকা অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের সম্মুখীন, তখনই সরকারের সীমাহীন অপদার্থতা চাপা দিতে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই সময়টা বেছে নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে সিপিআইএম বলেছে, গত সাত বছরে নারদ কান্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিজেপি সরকার ও তাদের পরিচালিত সংস্থাগুলো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সংসদে এল কে আদবানির নেতৃত্বে গঠিত এথিক্স কমিটিকে অকেজো করে রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার দু-মুখো নীতি নিয়ে চলছে। রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য দর কষাকষি ও দল ভাঙানোর লক্ষ্যে এই কেলেঙ্কারিগুলো চাপা দিয়ে এইসব কেলেঙ্কারির সাথে যুক্ত অন্যান্য আসামীদের রক্ষাকবচ দিতে নিজের দলের নেতা বানিয়েছে।
সিপিআইএমের মতে, বিজেপি পরিস্থিতিকে ঘোরালো করেছে এবং তৃণমূল কংগ্রেস এই পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করতে তৎপর হয়ে উঠছে। মহামারী আইন সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশকে অমান্য করে রাজ্যের সর্বত্র অবৈধ জমায়েত করছে শাসকদল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন