
'ধর্মঘট হবেই ২৭ সেপ্টেম্বর। রাস্তায় লাল ঝান্ডা থাকবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কী করবেন? ধর্মঘটের দিন কোন দিকে থাকবেন, তা ঠিক করুন উনি। উনি কখনও কৃষক আন্দোলন সমর্থন করেন। কখনও ধর্মঘটের বিরোধিতা করে পুলিশ পাঠিয়ে গ্রেফতার করান।' রবিবার রায়গঞ্জে ডিওয়াইএফআইয়ের ১৯তম রাজ্য সম্মেলনে এমনটাই বললেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
প্রসঙ্গত, কৃষি আইন বাতিল ও ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারেন্টির দাবিতে কৃষক সংগঠনগুলি একত্রিত হয়ে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ছাতার তলায় গত বছর নভেম্বর মাস থেকে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। নিজেদের দাবিকে আরো দৃঢ় করতে ও জনগণের মধ্যে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ভারত বনধের ডাক দিয়েছে মোর্চা। প্রথমে ২৫ সেপ্টেম্বর এই বনধের ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু মুজফ্ফরনগর মহাপঞ্চায়েত থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর বনধের ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচটি বাম দল কৃষকদের এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে।
সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, সংকট অনেক লম্বা। তা থেকে মানব মুক্তির জন্য যে লড়াই চলছে, তা সুসংগঠিত করার দায় সবার। এই কয়েকদিন আগে কি এক কারখানার শিলান্যাস করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন রাজ্যে ৪০ শতাংশ বেকার কমে গিয়েছে। দারিদ্র্যও তাই। এই সময়ে ১৫ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এভাবে বারবার মিথ্যা বলে সত্য চাপা দেওয়া হচ্ছে।
তাঁর অভিযোগ, মুখ থুবড়ে পড়েছে জনস্বাস্থ্য, জনশিক্ষা। অজানা রোগ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে। ভাইরাস বলে চালানো হচ্ছে। অথচ কী ভাইরাস, তা বলা হচ্ছে না। ভাইরাসও তো অস্তিত্বের জন্য বদলায়। আগে থেকে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে। জনস্বাস্থ্য, জনশিক্ষা সংকটে। তারই মধ্যে বিভাজন চলছে। এটা সমকালীন সংকট বলে তিনি মনে করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন