প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্যই এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ। কটাক্ষ করলেন অধীর চৌধুরী। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হলেও তা নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তোলেন শিক্ষক প্রার্থীরা। এবার সে বিষয়ে মুখ খুললেন বহরমপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, 'পুরোটাই সরকারি দক্ষতার অভাব। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে তারা লাগাতার নিয়োগের জন্য আন্দোলন করছেন। অথচ চাকরি পাচ্ছেন না। কাল বিলম্বের ফলে অনেকের বয়স বাড়ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের অসন্তোষের যথেষ্ট কারণ আছে বলেই আমার ধারণা।'
পেট্রোপণ্যকে জিএসটি আওতা ভুক্ত করার দাবিও তোলেন তিনি। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে ভারতবর্ষে তেলের মূল্য মহার্ঘ্য হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করলেন। তিনি বলেন- সরকার চাইলে এখুনি তেলের দাম কমাতে পারে। কিন্তু সরকারি সদিচ্ছার অভাব। তেলের ওপর থেকে ট্যাক্স ও সেস কমালেই তেলের দাম কমে যাবে। তাতে হয়তো সরকারের আয় কমবে। অথবা সরাসরি ভর্তুকি দেওয়া হোক তেলের ক্ষেত্রে। যেমনটা খাদ্য ও সারের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়। আর নয় তো অয়েল পুল তৈরি করা হোক। তাতে সমস্যা অনেকটাই মিটবে। কংগ্রেস আমলে তেলের দাম এর থেকে বেশি ছিলো। কিন্তু মহার্ঘ্য হয়নি পেট্রোপণ্যের দাম।
সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন- 'সরকারি প্রকল্পের টাকা আম জনতার টাকা। সেই টাকা নিয়ে গ্রামে গ্রামে জুলুমবাজি হচ্ছে।' তাঁর অভিযোগ- 'গৃহ নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের যে টাকা গ্রামের মানুষদের দেওয়ার কথা তা দেওয়া হচ্ছে না। জেলার নেতারা বলছেন তৃণমূলে যোগ দিলে সেই টাকা দেওয়া হবে। অথচ কলকাতার নেতারা বলছেন দলে আর জায়গা নেই। তাহলে এই মানুষ গুলি কোথায় যাবে। সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়ে তাই জুলুমবাজি বন্ধ হোক।
পিএসি চেয়ারম্যান পদ নিয়েও এদিন খোলামেলা ভাষায় অধীর বুঝিয়ে দেন প্রথা বিরোধী দলের হাতে তুলে দেওয়া কিন্তু স্পিকার বাধ্য নন তা করতে। ইন্দিরা গান্ধী প্রথম পিএসি (PAC) কমিটিকে বৃহত্তম বিরোধী দলের হাতে তুলে দিয়ে এই প্রথার প্রচলন করেছিলেন বটে। কিন্তু এটা কোন আইন নয়। স্পিকার চাইলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পিএসি চেয়ারম্যান নিয়োগ করতে পারেন।
সবশেষে তিনি বলেন- বিজেপির আগামীদিনে বাংলায় থাকবে না। তার আগাম পূর্ভবাস দেখছি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।