

২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালের হাতে পুলিশের কামড় প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন পিংলার তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি। তবে অন্যদিকে, এই ঘটনা 'পুলিশের ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করেছে' বলে মনে করেন দমদমের তৃণমূল বিধায়ক সৌগত রায়।
বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার কথায়, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এরকম না হলেই ভালো হত। মূল ঘটনা কী ঘটেছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। চাকরিপ্রার্থী বলছেন, তাঁকে ওই পুলিশ কনস্টেবল কামড়েছেন। আবার পুলিশ বলছে, ওই পুলিশকর্মীকেই আগে কামড়ানো হয়েছে। পুলিশ কিন্তু ওই দিন লাঠিচার্জ করেনি বা কাঁদানে গ্যাস ছোড়েনি। এমনিতে পুলিশ ওই দিন অনেক সংযম দেখিয়েছিল। কিন্তু একটা ছোট্ট ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা একটু কলঙ্কিত হল। নিশ্চয়ই পুলিশ এই নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করবে।
সৌগতর দাবি, বুধবার চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তা অবরোধ করায় পুলিশ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। তাঁর কথায়, পুলিশকে তো কিছু করতেই হত। কেউ যদি রাস্তা বা অফিস অবরোধ করে, তাহলে সেই রাস্তা ক্লিয়ার করার জন্য বা অফিস যাতে বন্ধ না হয় তা দেখার জন্য পুলিশকে পদক্ষেপ নিতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে সংযত থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। চাকরিপ্রার্থীরা যেভাবে রাস্তা আটকে বসেছিলেন, তাতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতেই হত। যখন এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে, তখন পুলিশ তদন্ত করে দেখুক!
অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতির সুরে সুর মিলিয়ে কামড় বিতর্কে মুখ খুললেন বিধানসভার স্পীকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায় - এটা বিচারাধীন ব্যাপার, তদন্ত চলছে। উস্কানির পর কেউ উত্তেজিত হয়ে কিছু করলে তা অপরাধ নয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন