রাজ্যবাসী হিংসার আগ্নেয়গিরির উপর বসে আছেন। রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে এভাবেই সরব হলেন রাজ্যপাল। তার জেরে ফের রাজ্যপাল ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাত লাগল। রাজ্যপাল আগেই জানিয়েছিলেন, হিংসা কবলিত এলাকায় তিনি যাবেন। আর সেটা তাঁর সাংবিধানিক অধিকার। এরপর তিনি কোচবিহার ও শিতলকুচি সফরে যান। তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলছিল বিতর্ক। সেই বিতর্কের মধ্যেই শনিবার সকালে বিএসএফের হেলিকপ্টারে নন্দীগ্রামে পৌঁছলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
নন্দীগ্রামে পা রেখেই রাজ্য এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে রাজ্যপালকে স্বাগত। উনি নিজেই ঘুরে দেখুন হিংসার চিত্রটা। বিজেপির কোনও নেতা থাকবেন না। কিন্তু এদিন কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, তাঁকে নন্দীগ্রামে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য ছিলেন শুভেন্দুই। তারপর শুভেন্দুর সঙ্গেই গাড়িতে রওনা দেন রাজ্যপাল। তারপর এদিন বিজেপি কর্মীর বাইকে চেপে গ্রামে গ্রামে ঘোরেন রাজ্যপাল।
সেখানে সাংবাদিকদের রাজ্যপাল বলেন, “এক দিকে কোভিড, অন্য দিকে নজিরবিহীন ভাবে ভোট পরবর্তী হিংসা, যা সম্পূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ। ভোটের পর এই ধরনের হিংসার কথা কোনও দিন শুনিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ, বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার সময় এসেছে।'
ধনকরের অভিযোগ, নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসায় বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। বলেন, 'রাতে ঘুমোতে পারছি না। আমরা জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির উপর বসে রয়েছি। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ। কটূক্তি শুনতে হচ্ছে তাঁদের। প্রায়ই প্রাণহানি, ধর্ষণ, লুটতরাজ এবং তোলাবাজির ঘটনা ঘটছে।’
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।