

মহামারীতে কর্মহীন মানুষদের পাশে দাঁড়াতে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি মুখ্যমন্ত্রীকে বরাবরই জানিয়ে আসছিল বামেরা। কোচবিহারে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রকে মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা দেওয়ার অনুরোধ করেছিল বামেরাই। পাশাপাশি রাজ্যের কাছে দু'হাজার টাকা করে দেওয়া অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য বা কেন্দ্র কোনও কথাই শোনেনি।'
২০২০ সালে যখন মহামারীতে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তখনই এই সাড়ে সাত হাজার টাকার অনুদানের দাবি জানানো হয়েছিল। অথচ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে বিরোধী দলগুলির সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানিয়ে দাবি করেছেন, এটাই প্রথম প্রস্তাব। ২০২০ সালের ২ এপ্রিল বামপন্থীরা যৌথ ভাবে কেন্দ্রকে যে চিঠি দিয়েছিল, তা ভুলিয়ে দেওয়ার প্রচার চলছে।
তিনি বলেন, 'গত বছরের ২৫ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীকেও যৌথ ভাবে চিঠি দিয়েছিলাম বাম পরিষদে দলের পক্ষ থেকে আমি এবং তৎকালীন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।' কেন্দ্র ও রাজ্যকে দেওয়া দুটি চিঠির কপি সাংবাদিকদের দেখান তিনি। বাম নেতার দাবি, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী দুজনেই চুপ করে ছিলেন। গত ২৬ নভেম্বর দেশব্যাপী যে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল, তাতেও এটা ছিল অন্যতম দাবি। অথচ মুখ্যমন্ত্রী এখন অসত্য দাবি করছেন।
ইস্টবেঙ্গল এবার আইএসএল টুর্নামেন্টে যোগ দিতে পারে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এই ব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রীকে আগে থেকে জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেন সুজন চক্রবর্তী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন