দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনে আর মিলন হবে না দুই বাংলার

প্রতিবছর হাসনাবাদের টাকি পর্যটন কেন্দ্র ইছামতি নদীতে নৌকোয় করে প্রতীমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে এই রকম আনন্দে মেতে উঠতেন দুই বাংলার মানুষেরা।
দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনে আর মিলন হবে না দুই বাংলার
ছবি - সংগৃহীত
Published on

করোনা কেড়ে নিল দুই বাংলার মিলন। দশমী বিসর্জন নদীতে হলেও করোনার জন্য দুই বাংলার মানুষ আর এক হতে পারবে না। এই বার্তা পৌঁছে যেতেই মন খারাপ বঙ্গবাসীর।

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। এই দুর্গাপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই বাংলার মানুষ সীমান্ত ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হতেন। দুই বাংলার মহিলারা একদিকে যেমন সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে আনন্দ উপভোগ করতেন, অপরদিকে সাধারণ মানুষেরা ও মিষ্টিমুখ ও বিভিন্ন ধরণের খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে আনন্দ উপভোগ করতেন।

প্রতিবছর হাসনাবাদের টাকি পর্যটন কেন্দ্র ইছামতি নদীতে নৌকোয় করে প্রতীমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে এই রকম আনন্দে মেতে উঠতেন দুই বাংলার মানুষেরা। বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিডিআর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ দের নজরদারি থাকতো কড়া। কিন্তু করোনা আবহে শুধু বিসর্জন টুকুই হবে ইছামতি নদীতে। কিন্তু দুই বাংলার মানুষ আর এক সঙ্গে মিলিত হতে পারবে না। করোনার জন্য টাকির এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিমা বিসর্জনে নতুন নিয়ম নিয়ে আসা হয়েছে।

ইছামতি নদীর ভারতীয় সীমান্তের দিকে শুধুমাত্র পুজো উদ্যোক্তারা একেকটি নৌকোতে একটি করে প্রতিমা আট জন মানুষ থাকবে। যারা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে পারবে না। অপরদিকে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে বাংলাদেশিরা ঠিক একইভাবে নৌকোতে করে প্রতিমা নিয়ে বিসর্জন করবে। তারাও ভারতীয় সীমান্তে আসতে পারবে না।

আর এই ইছামতি নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করার জন্য আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। যারাই নথিভূক্ত করবে তারাই শুধুমাত্র নদীতে বিসর্জনের অনুমতি পাবে। বাকিরা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে বিসর্জন উপভোগ করবে। তবে সেটা করো না স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

দুই দেশের পক্ষ থেকে এমনটাই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর মন খারাপ হাসনাবাদ ও টাকি পুজো উদ্যোক্তাদের। এই বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুই বাংলার মানুষ একত্রিত হতো। সেটা আর হবে না। শুধুমাত্র নদীর এই পাড়ে দাড়িয়ে ওই পারের বিসর্জন দেখতে হবে এবার বাংলাবাসীদের।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in