মহামারীর জেরও এমনিতেই অর্থনীতি বিপর্যস্ত। তারমধ্যে রাজ্যে বিধান পরিষদ গঠনের পরিকল্পনা অবাস্তব। এমনটাই মনে করছেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বিধান পরিষদ গঠনকে সাদা হাতি পোষার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এই মহামারীর সময় রাজ্য মানুষকে অক্সিজেন, খাদ্য ও ওষুধ দিতে পারছে না। হাসপাতালের শয্যা ও উন্নত পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করতে পারছে না। কিন্তু শাসকদলের কয়েকজনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে বিধান পরিষদ গঠনের মতো অপ্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ব্যয়ভার সাধারণ মানুষকে বহন করতে হবে।
তাঁর কথায়, রাজ্য সরকারের উচিত এখনই সংকটাপন্ন মানুষদের চিকিৎসা, খাদ্য, রোজগারের ব্যবস্থা করা। দেশের মোট ছয়টি রাজ্যে বিধান পরিষদ রয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গেও বিধান পরিষদ ছিল। কিন্তু ১৯৬৮ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব দিয়ে বিধান পরিষদ তুলে দেয়। এরপর ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েক মাসের মধ্যেই মমতাকে বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। কিন্তু বামফ্রন্টের যুক্তিপূর্ণ বিরোধিতার মুখে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিছু হটেন। এবার সে-বিষয়টি নিয়ে ফের নড়েচড়ে বসেন।
সোমবার নিজাম প্যালেস থেকে ফোনে মন্ত্রিসভার বৈঠক করে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাস করান। এই প্রসঙ্গে সূর্যকান্তের বক্তব্য, ১০ বছর আগের সময় ফিরিয়ে এনে এই মহামারীর মধ্যে অর্থনীতিতে আরও বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। দেশের আইনসভায় দ্বিতীয় কক্ষ থাকলেও রাজ্যে তা প্রয়োজন পড়ে না, সে কথা তিনি উল্লেখ করেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।