কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বহুদিনের। সেই অভিযোগের রেশ টেনে বুধবার বিধানসভায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আরও একবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন কেন্দ্রের কাছ থেকে কত টাকা পাওনা রয়েছে রাজ্যের। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্রের সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস পথে ঠেলে দিচ্ছে।
এদিন বিধানসভায় তৃতীয় বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার বাজেট অধিবেশন ডাকা হয়। বাজেট অধিবেশন পেশের পরই মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে তোপ দাগেন। সেখান তিনি কোভিড টিকা, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি-সহ রাজ্যকে বঞ্চনার একাধিক অভিযোগ করেন। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাজ্যকে ৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্র। এখনও ৩৩ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা পাই। এত বঞ্চনার পরও রাজ্যের জিডিপি বেড়েছে।'
একইসঙ্গে যশের ক্ষতিপূরণ নিয়েও রাজ্যের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিধানসভা থেকে ফের একবার কেন্দ্রীয় টিকা করণ নীতি নিয়ে বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ সঠিক সময় সাধারন মানুষের টিকা বণ্টন করতে ব্যর্থ কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'টিকা তো বাজারে এসে গিয়েছিল, দ্বিতীয় ঢেউ আসার আগে কেন দেশবাসীকে টিকা দেওয়া হল না? এখন তো বিরোধী রাজ্যগুলিকে কম টিকা দেওয়া হচ্ছে।'
একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, 'কেন্দ্রীয় বাজেটে কোভিড টিকার জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এছাড়াও ছিল পিএম কেয়ারস। সেই টাকা কোথায় গেল?' পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিতে কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেছেন। মমতার অভিযোগ, 'পেট্রোপণ্য থেকে মোটা টাকা কর আদায় করেছে কেন্দ্র। গত কয়েক মাসে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়েছে পেট্রল, ডিজেলের।'
এদিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সর রদবদল এনেছে বিজেপি। সে প্রসঙ্গে কটাক্ষ সুরে তিনি বলেন, 'শুধু মন্ত্রিসভা রদবদল করলেই হবে? জ্বালানির দাম কমানোর জন্য ব্যবস্থাও নেওয়া উচিৎ।' উল্লেখ্য, গত মে মাস থেকে ৮ বার পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে। শুধুমাত্র জুন মাসেই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৬ বার। আর গত এক সপ্তাহে ৪ বার দাম বেড়েছে পেট্রোপণ্যের। সবমিলিয়ে আমজনতার নাভিশ্বাস দশা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।