কেন একুশের নির্বাচনে মানুষ একবারেই মুখ ফিরিয়ে নিল বামেদের থেকে? তার পর্যালোচনায় বিজেপি-বিরোধিতার ক্ষেত্রে কিছু ঘাটতির কথা স্বীকার করা হয়েছে। দলের দলিলে সেকথা উল্লেখও করা হয়েছে। নেতাদের বক্তব্য, ‘বিজেমূলের’ মতো কিছু স্লোগান বিভ্রান্তি তৈরি করেছিল। কিন্তু তাই বলে তৃণমূলের প্রতি ‘নরম’ মনোভাব নয়। মুজফফর আহমেদের (কাকাবাবু) ১৩৩ তম জন্মদিন পালনের মঞ্চ থেকে সিপিএম নেতৃত্বের বার্তা, বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই মতাদর্শগত। জাতীয় স্তরে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে পরাস্ত করার লক্ষ্যে বিরোধী ঐক্যেই থাকবেন তাঁরা। কিন্তু রাজ্যে যারা বিজেপি ও তৃণমূল, দু’দলেরই বিরুদ্ধে, তাদের একজোট করার লক্ষ্যে দলের কাজ চলবে।
দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘দেশে সব বিরোধী একজোট হচ্ছে বিজেপির বিরুদ্ধে। জাতীয় স্তরে এমন ঐক্য হলেও আঞ্চলিক দলগুলোর আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে।’ তাঁর কথায়, ‘পরাজিত আমরা হয়েছি। কিন্তু যে ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়ে বাংলায় নির্বাচন করেছি, সেটা ঠিক। বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়তে চান, তাঁদের একজোট হতে হবে। তৃণমূলের প্রতি যাঁরা নরম মনোভাবের কথা বলছেন, তাঁরা শাসক দলের বিরুদ্ধে থাকা ক্ষোভের কারণগুলোকে অস্বীকার করছেন।’
শব্দের ব্যবহার নিয়ে মহম্মদ সেলিম উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘সত্তরের দশকে বাংলায় ‘কংশাল’ কথাটা চালু হয়। তার মানে কি কংগ্রেস আর নকশাল এক? সুকুমার রায় ‘বকচ্ছপ’ বা ‘হাঁসজারু’র কথা লিখেছিলেন। বক আর কচ্ছপ কি কখনও এক হতে পারে?' তিনি পরিষ্কার বলেন, 'একটা বিশেষ পরিস্থিতি বোঝাতে এমন শব্দের প্রচলন হয়।’ তাঁরা ‘বিজেমূল’ শব্দটি ব্যবহার করলেও বিজেপি ও তৃণমূলকে তাঁরা এক করে দেখেন না বলেই বক্তব্য তাঁদের।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।