

নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে গোটা রাজ্যজুড়েই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। টলিউড তারকারা নিজেদের হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আক্রান্ত হয়েছেন রেড ভলান্টিয়ার্সের সদস্যরাও। সেই ঘটনারও নিন্দা করেছেন তারা।
সব অশান্তির বিরোধিতা করে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ফেসবুকে লিখেছেন- "রাজনৈতিক হিংসা , এমন একটা শব্দ যার সঙ্গে সারা ভারতবর্ষ এমনকি পশ্চিমবঙ্গ গত দুই দশক ধরে পরিচিত। একই রকম ভাবে এই ভোটের পরেও রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি শুরু হয়ে গেছে। মানুষ মানুষকে মারছে , ঘর-পার্টিঅফিসে আগুন ধরাচ্ছে । কিন্তু যে ন্যারেটিভটা গত দুদিন ধরে নামছে , সেটা সমস্যা জনক। সেখানে বারংবার নির্দিষ্ট দুটি দলের উল্লেখ করা হচ্ছে , যারা মার খাচ্ছে । কিন্তু রাজনৈতিক হিংসা কি শুধু মাত্র নির্দিষ্ট দল , নির্দিষ্ট মানুষ কে টার্গেট করে ? না মনে হয় । যাদের উল্লেখ নেই যাদের কথা মিডিয়া তুলে ধরছে না । আঘাত তাদের উপরেও নেহাত কম আসছে বলে মনে হয় না । তাই রাজনৈতিক হিংসার বিরোধিতা করা হোক । কোনো নির্দিষ্ট দলের উর্দ্ধে যাওয়ার সময় আমাদের ও এসেছে, পশ্চিমবঙ্গের ও এসেছে । Thank you Red Volunteers Group for working on the frontline tirelessly. কঠিন সময়ে মানুষকেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। এরকম অবস্থায় যারা আর্তের সেবা ছেড়ে দৌরাত্মে ব্যস্ত, তাদেরকে সুবুদ্ধি দিন পরমেশ্বর।"
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, হিংসা কোনও ভাবেই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না। অপরাধীদের বিচার হোক। সন্ত্রাস কখনও কাম্য নয় বলে মনে করেন সুদীপ্তা চক্রবর্তীও। বলেন, আগে ছিল ক্ষমতা দখলের মারামারি আর পরে সেই ক্ষমতা পাওয়ার অহঙ্কারে ছড়িয়ে পড়া হিংসা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে যে দল এখন ক্ষমতায় এসেছে, তাদের আরও বেশি দায়িত্ব বর্তায় রাজ্যে শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার।
রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায় যে রাজ্য সরকারের, সে কথাও মনে করিয়ে দিলেন ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়। অভিনেতার কথায়, ‘নির্বাচনের পরে এই সন্ত্রাসের ছবি চেনা হলেও বিপজ্জনক। তৃণমূল সদস্যদের মাথায় রাখতে হবে, ২০১১-র পালাবদলের আগের নির্বাচনে (২০০৬) সিপিএম কিন্তু ২৩৫টি আসনে জিতে এসেছিল। উদ্যাপনের সঙ্গে হিংসাকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। পুলিশের চূড়ান্ত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
আবির তাঁর টুইটে বলেন, ‘জয়ের পর এবার একটু বিনয়ী হন...দয়া করে। এটা আমার অনুরোধ। এখন শুধু আমাদের একটাই লড়াই, আর সেটা মারণ ভাইরাসের সঙ্গে।’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন