
সিঙ্গুরে চকোলেট-স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশনের নাটক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! প্রকাশ্য সমাবেশে তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করে একথা বললেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বুধবার বিজেপি, তৃণমূল উভয় দলের তরফ থেকেই নন্দীগ্রাম দিবস পালন করা হয়। সকালে নন্দীগ্রামের করপল্লির শহিদ-বেদীতে গিয়ে মাল্যদান করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বিকেলে সেই শহিদ বেদী গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে সেখানে শহিদ স্মরণ করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা শহিদ বেদীতে মালা দিয়ে তা অপবিত্র করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় একাধিকবার নিজের পুরনো দলকে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু।
তিনি বলেন, "কিছু ছোটলোক সকালে এসে শহিদ বেদী অপবিত্র করে গিয়েছে। শহিদ তর্পণের নামে জেহাদিদের মঞ্চে এনে কুৎসা করে গিয়েছে। তাই এই শহিদ বেদী গঙ্গাজল দিয়ে ধুইয়ে দেওয়া হয়েছে। গোবর জল দিয়েও পরিষ্কার করা হবে।"
বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন ২০০৮ সালে সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে অনশন করতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ধর্মতলায় ২৬ দিন অনশন করেছিলেন তিনি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই অনশনকে কটাক্ষ করে তাঁর সেইসময়কার ছায়াছঙ্গী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "নেপোয় মারে দই, না? যখন চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশনের নামে নাটক করেছিলেন? শরবত খাওয়াতে এসেছিল কে? রাজনাথ সিং। নন্দীগ্রামের রাস্তাগুলো কে পরিষ্কার করেছিলেন? লালকৃষ্ণ আদবানী।"
শুভেন্দুর এই দাবির পরই তৃণমূল-বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে সিপিআইএম। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, "চকোলেট খাওয়ার সময় হোক বা নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় হোক, শুভেন্দু তখন মমতার সেকেন্ড ম্যান ছিলেন। এটা বিস্ফোরক দাবি নয়, এটা আমাদের জানা কথা। আমরা বারবার এই দাবি করেছি। কেউ বুঝতে চাননি। সত্য ক্রমশ প্রকাশিত হবেই। চকোলেট খেয়ে অনশনের নামে প্রহসন হয়েছিল, সে কথা কে জানে না? নন্দীগ্রামে চক্রান্ত করা হয়েছিল, এ কথা কে জানে না? বাংলার সর্বনাশ করার জন্য এইসব করা হয়েছে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন