

পূর্বঘোষণা মতোই সোমবার নিজের দলের নাম ঘোষণা করলেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডেড হওয়া হুমায়ুন কবীর। তাঁর দলের নাম – ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’। সোমবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার খাগরুপাড়া মোড়ে এক অনুষ্ঠান মারফত নিজের দলের নাম ঘোষণা করেন তিনি। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই দলের নাম সহ ব্যানার, প্ল্যাকার্ড লাগানো হয় মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায়।
দলের নাম ঘোষণার পর ভরতপুরের বিধায়ক জানান, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রেজিনগর এবং বেলডাঙা— দুই কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন তিনি। নতুন দলের নাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দলের নামের সঙ্গে সাধারণ মানুষ সহজেই একাত্ম হতে পারবেন। বাংলার আমজনতার পার্টি হবে আমার দল। আমজনতার উন্নয়নের কথা ভাববে।“
হুমায়ুন জানান, নতুন দলের প্রতীক হিসেবে টেবিল তাঁর প্রথম পছন্দ। তবে নির্বাচন কমিশন ওই প্রতীক অনুমোদন না-করলে বিকল্প হিসাবে জোড়া গোলাপের কথা ভেবে রেখেছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে রেজিনগর থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় টেবিল প্রতীকেই লড়েছিলেন তিনি।
নতুন দলের নাম ঘোষণার আগেও মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক। এক সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, ১৫ বছর আগের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর বর্তমান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।... মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পর্শ করা যায় না। সাধারণ মানুষ স্পর্শ করতে পারেন না। আমলাতান্ত্রিক দল চলছে।"
সাক্ষাৎকারে আরও দুই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম জানিয়েছেন তিনি। এই দুই প্রার্থীর নামও হুমায়ুন কবীর। রানিনগরে লড়বেন ডাক্তার হুমায়ুন কবীর, যিনি ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে এই কেন্দ্র থেকেই লড়েছিলেন এবং পরাজিত হয়েছিলেন। আর একজন হুমায়ুন কবীর লড়বেন ভগবানগোলা থেকে। ইনি পেশায় ব্যবসায়ী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন