

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র। কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ১০০ দিনের কাজের টাকা মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে। এছাড়া ১০০ দিনের কাজ নিয়েও কাটল বাধা। ফলে চার বছর পর ফের রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ১০০ দিনের কাজ।
সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে, “আপনারা মামলা তুলে নেবেন, না কি আমরা খারিজ করব?” এই মন্তব্যের পরই কেন্দ্রের করা আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
২০২২ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। কেন্দ্রের দাবি, রাজ্যে এই প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। প্রকৃত শ্রমিকদের পরিবর্তে অন্যদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে। সেই কারণেই ১০০ দিনের বরাদ্দ তহবিল আটকে রাখা হয়েছিল।
অন্যদিকে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বক্তব্য, কেন্দ্র রাজ্যবাসীকে রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত করছে। গত জুনে কলকাতা হাই কোর্ট এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয়। হাই কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘‘এই সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ ২০২২ সালের আগের। সেই সব নিয়ে আপনারা যা খুশি পদক্ষেপ করুন। কিন্তু এখন প্রকল্পের কাজ চালু করা হোক।’’
হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল, রাজ্যে ১ অগস্ট ২০২৫ থেকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প পুনরায় চালু করতে হবে এবং কেন্দ্রকে রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ মঞ্জুর করতে হবে।
হাইকোর্টের এই রায়ের পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। তবে সোমবার কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মামলাটির কোনো ‘আইনি ভিত্তি’ নেই।
সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় সামনে আসতেই বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এর আগে হাইকোর্ট থাপ্পড় মেরেছিল। এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল। এরপরও কেন্দ্রের বাংলা বিদ্বেষ বন্ধ হবে না। এরপরও যদি টাকা না দেয়, তাহলে ওরা নিজেরাই নিজেদের বাংলা বিদ্বেষী বলে তকমা দেবে।”
রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "বাংলাকে বঞ্চিত করছে কেন্দ্র। প্রতিকূলতার মধ্যে দাঁড়িয়েও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্পগুলিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন