
টালিগঞ্জের পর অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। সেই খবর প্রচার হওয়ার পরেই পার্থর বারুইপুরের বাগান বাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। শুধুই কি চুরি নাকি প্রমাণ লোপাটের জন্য এই দুষ্কৃতী হানা? প্রশ্ন তুললেন সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী।
অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ইডি উদ্ধার করে প্রায় ২৮ কোটি টাকা। ঐ ফ্ল্যাট থেকেই মেলে ৩ কেজি সোনার বার। তল্লাশি অভিযানে নেমে আপাতত প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। প্রকাশ্যে এসেছে পার্থর বিপুল সম্পত্তির খবর। সেই তালিকায় আছে বারুইপুরের বেগমপুরের একটি বাগান বাড়ি।
এই বাড়িতেই গভীর রাতে হানা দেয় ৪-৫ জন দুষ্কৃতী। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাত ১ টার সময় তালা ভাঙার আওয়াজ শুনে নিজেদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। তাঁদেরকে হুমকিও দেওয়া হয়। তাঁরা দেখেন দুষ্কৃতীরা বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২-৩ মাস অন্তর আসতেন ঐ বাগান বাড়িতে। মাঝে মধ্যে একাধিক গাড়িও দাঁড়িয়ে থাকত বাড়ির সামনে। ঘটনাস্থলে আসে বারুইপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে চুরি বলেই মনে হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। শুক্রবার সকালে ঐ বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান সিপিআই(এম)-র কর্মী সমর্থকরা।
সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'পশ্চিম বাংলায় যা চলছে তা কেলেঙ্কারি। রাত ১ টার সময় পার্থ চ্যাটার্জীর মেয়ের নামে বাগানবাড়িতে হঠাৎ চোর এসে গেল। লোপাট করে নিয়ে চলে গেল। শুনছি কিছু নথি নাকি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে'।
তিনি আরও বলেন, 'এটা কী শুধু পার্থ চ্যাটার্জীর ব্যাপার না পুলিশমন্ত্রীর ব্যাপার! ওখানে একটা বড় অংশের সম্পদ, বেআইনি নথিপত্র সব রাখা হয়েছে। ওগুলি লোপাট করে দেওয়ার জন্য এই কাজ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর যদি ন্যূনতম সততা থাকে তাহলে কারা এসেছিল, কোথা থেকে এসেছিল কেন পুলিশ কিছু করেনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক'।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন