

আজই ডিএ মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। তার পরই রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর মুখে শোনা যায় খেলা-মেলা প্রসঙ্গও।
তিনি রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলে বলেন, বকেয়া ডিএর পরিমাণ প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা। এত টাকা নিয়ে রাজ্য সরকার কী করল? সরকারের টাকা যদি না থাকে তাহলে রোজ খেলা-মেলার খরচ কীভাবে জোগাচ্ছে? এ ছাড়াও তাঁকে বলতে শোনা যায়, বিধায়ক থেকে মন্ত্রীদের বেতন বাড়লে সরকারি কর্মীদেরকেও তাহলে ডিএ দেওয়া উচিত। সরকারি পদে নিয়োগ সহ শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও তিনি মুখ খোলেন। সরকারের কাছে জানতে চান কেন ঐসব পদগুলিতে নিয়োগ করা হচ্ছে না?
সম্প্রতি, চিরকুট প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর তীব্র সমালোচনা করেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, 'এর আগেও মমতা ব্যানার্জী জনগণের করের টাকায় অনেক কমিশন গঠন করেছিলেন কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি'। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে 'চিরকুট খুঁজে বের করার' চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সিপিআই(এম)-র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এর আগেও করেছেন মমতা ব্যানার্জী, তবে তাতে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেনি তৃণমূল।
এছাড়াও তিনি বলেন, “চিটফান্ড নিয়ে অনেক কিছু করলেন, মিথ্যা মামলা সহ নানা কিছু করলেন (মমতা ব্যানার্জী) কিন্তু মানুষ গুলোর সুরাহা করলেন কিছু? ব্যবস্থা করলেন কিছু? উল্টে ধামা চাপা দিলেন রাজীব কুমারকে দিয়ে”। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “গত ১১ বছরে সব নিয়ে ৮০০ টি কমিশন করেছেন সরকারের টাকা খরচ করে, তার রিপোর্ট কোথায়?
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন