SSC: ২০১৬ সালের নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি! স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

মামলাকারীদের দাবি, ২০২০ সালের ৩ আগস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশন এসএমএস করে একাধিকজনকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে দেখা করতে বলছে। অথচ প্যানেলের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টছবি - সংগৃহীত

দুর্নীতির আঁচ পেয়েছে ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগে ফের স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ফলে এসএসসির নিয়োগে বড়সড় কোনও দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে নবম-দশমে যে শিক্ষক নিয়োগ হয়, গত ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। মামলাকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০২০ সালের ৩ আগস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশন এসএমএস করে একাধিকজনকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে দেখা করতে বলছে। অথচ প্যানেলের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরও কোনও পাবলিক নোটিশ দেওয়া হয়নি।

এদিকে দেখা যাচ্ছে, যাঁরা চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন, মেধাতালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। শুধু তাই নয়, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদেরও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। এই পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে এসএসসির কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বেশ কয়েকটি মামলায় এসএসসি ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে যে, ভুল তাদের তরফেই হয়েছে৷ এসএমএস করে চাকরিপ্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তার ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

মামলাকারীদের তরফের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, 'একাধিক কম যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। মেধাতালিকায় নাম নেই এমন প্রার্থীদেরও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।' আট মাস আগে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেই প্যানেলের কোনও পাবলিক নোটিশ ছাড়া কীভাবে নিয়োগ করা হয়, বোঝা দায়। বড়সড় অনিয়মের রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

কলকাতা হাইকোর্ট
SSC উত্তীর্ণদের কেন নিয়োগ করা হচ্ছে না? মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে প্রশ্ন সুজন চক্রবর্তীর

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in