
বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কার্যকারিনী বৈঠকে অনুপস্থিত তিন বিধায়ক। এই ঘটনায় জল্পনা তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে ও বাইরে। বিজেপির পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করা না হলেও একসাথে তিন বিধায়কের অনুপস্থিতিতে প্রমাদ গুণছে গেরুয়া শিবির। এই ঘটনা নিয়ে টিপ্পনী করতে ছাড়েনি তৃণমূল নেতৃত্ব।
রবিবার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কার্যকারিনী বৈঠক ছিল। বনগাঁ শহরে অবস্থিত জেলা পার্টি অফিসে হওয়া এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজ্যে নেতৃত্বের। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তর বিধানসভার বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া ও গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর।
কয়েকদিন আগে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন এই তিন বিধায়ক। এবার দলের কার্যকারিনী বৈঠকেও তিন বিধায়কের অনুপস্থিতি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
এ বিষয়ে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া জানিয়েছেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। সেই কারণে বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি।
বাকি দুই বিধায়ক এখনও কিছু জানাননি। তবে মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দলের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। দলের একাধিক কর্মসূচি এড়িয়ে গেছেন তিনি। এমনকি বিধানসভায় উপস্থিত থেকে অধিবেশনে যোগ না দিয়ে তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের ঘরে বহুক্ষণ গল্প করতেও সম্প্রতি দেখা গিয়েছে তাঁকে।
রবিবারের কার্যকারিনী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপ জোনের অবজার্ভার অভিজিৎ দাস এবং বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার অবজার্ভার প্রসেনজিত ভৌমিক।
এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, বিজেপির মধ্যে তীব্র গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয়েছে, যার পরিণতি এটা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন