শোভা মজুমদারের মৃত্যু, বিজেপির বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তৃণমূলের

শোভা মজুমদারের মৃত্যু, বিজেপির বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তৃণমূলের
ছবি প্রতীকী সংগৃহীত
Published on

সোমবার মৃত্যু হয়েছে তৃণমূলের হাতে নিগৃহীত হবার অভিযোগ ওঠা বিজেপি কর্মীর বৃদ্ধা মা শোভা মজুমদারের। তাঁর মৃত্যু নিয়ে এখন ভোটের রাজনীতি চলছে। গেরুয়া শিবির রাজনীতি করছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। বৃদ্ধার মৃত্যুতে যে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, তাতে যে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, তারও কোনও ভিত্তি নেই। সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন তৃণমূলের কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং শশী পাঁজা।

প্রসঙ্গত, তাঁরা দুজনেই ডাক্তার। এদিকে সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করেছেন বিজেপি প্রার্থী ডক্টর অর্চনা মজুমদার। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থীর দাবি, এলাকার চিকিৎসকদের ভয় দেখিয়েছে তৃণমূল। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তৃণমূলের প্রশ্ন, বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেট লেখা হল?

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃদ্ধা শোভারানির ওপর হামলা হয়। বিজেপির অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। বৃদ্ধা একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চারদিন আগে তিনি ছাড়া পান। এরপর থেকে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। সোমবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে তাঁর বাড়ি যান দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ অর্চনা মজুমদার। তিনি যে লেটারহেডে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করেন, তাতে দেখা গিয়েছে, লেটারহেডের শেষ অংশে সই করেছেন তিনি। লেখা রয়েছে তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর। নীচে লেখা, ‘প্রার্থী দমদম উত্তর বিধানসভা, ভারতীয় জনতা পার্টি।’ মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ। কিন্তু ময়নাতদন্ত না করে কী করে মৃত্যুর কারণ লেখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদরা।

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক ডাঃ শান্তনু সেন বলেন, ‘বিজেপি এতদিন মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করত। এখন বিজেপি প্রার্থী ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করে নিজের নির্বাচনী প্রচার করছেন।' এই বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানান তিনি।

শোভা মজুমদারের ডেথ সার্টিফিকেট
শোভা মজুমদারের ডেথ সার্টিফিকেটতৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের ট্যুইটারের সৌজন্যে

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in