

পাচার কান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ দুই সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে। উদ্ধার করা হল লক্ষাধিক টাকার অবৈধ সেগুন কাঠ উদ্ধার। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই সরকারী কর্মচারী সহ ৭ জন। শিলিগুড়ির এই ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে সরকারি মহলে। বন দপ্তর সূত্রে খবর, ধৃতরা হলেন শুল্ক বিভাগের সুপার এস কে মাঝি, জিএসটি আধিকারিক দেবাশীষ ধর। এই চক্রের পেছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে বন দপ্তরের আধিকারিকেরা।
যে রক্ষক সেই ভক্ষক এই প্রবাদ প্রবচনকে বাস্তব রূপ দিলেন দুই সরকারি কর্মচারী। রীতিমতো গাড়িতে সরকারি স্টিকার লাগিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এই অবৈধ কারবার চলছিলো দীর্ঘদিন ধরে। অবৈধ পাচার আটকানোর দায়িত্ব যাদের, তাঁরাই এই কারবার চালাচ্ছেন জানাজানি হবার পর বিস্মিত সকলেই।
সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে খবর আসে শুল্ক বিভাগের গুদামে বিপুল পরিমাণে সেগুন কাঠ লুকোনো আছে। দেরি না করে গোপনে নজরদারি শুরু করে বনদপ্তর। মঙ্গলবার রাতে ট্রাকে করে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে কাঠ নিয়ে রওনা হতেই জলপাইমোড়ে তা আটক করা হয়। ওই ট্রাকেই দুই আধিকারিক সহ ৭জন ছিলো। তাদের গ্রেফতার করে বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠের লগ বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাজেয়াপ্ত কাঠের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা।
এবিষয়ে বৈকুন্ঠপুর বিভাগের এডিএফও জয়ন্ত মন্ডল বলেন, এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। সরকারি কর্মীদের কাজ রক্ষা করা কিন্তু তারাই যদি পাচারের কাজে যুক্ত হন তাহলে তা দুঃখজনক। আমরা তাদের থেকে প্রায় ২৫লক্ষ টাকার কাঠ উদ্ধার করেছি। এগুলো মিজোরাম থেকে আনা হয়েছিল আর কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন