Narada Scam: নির্বাচনী হলফনামায় নারদ মামলার তথ্য গোপন শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়ের !
ফাইল ছবি

Narada Scam: নির্বাচনী হলফনামায় নারদ মামলার তথ্য গোপন শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়ের !

গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের তিনজন নেতাই নির্বাচনী হলফনামায় নারদ মামলার তথ্য দিয়েছিলেন
Published on

এবারে বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে মুকুল রায় এবং নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। দু'জনেই জয়ী হয়ে বিধায়ক হন। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তৃণমূল নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। এরপরই নারদ মামলায় সিবিআই দুই মন্ত্রী-সহ তিন তৃণমূল নেতা ও একজন প্রাক্তন বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়নি। তা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে যথেষ্ট বিতর্ক হয়। এই অবস্থায় তাৎপর্যপূর্ণ এবং চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

বিষয়টি হল, গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের তিনজন নেতাই নির্বাচনী মনোনয়নপত্রে হলফনামায় নারদ মামলার তথ্য দিয়েছিলেন। কিন্তু যাঁদের গ্রেফতার না করা নিয়ে বিতর্ক, সেই মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সে-কথা উল্লেখই করেননি! নির্বাচনী হলফনামায় প্রার্থীকে নিজের বিরুদ্ধে মামলা থাকলে তা উল্লেখ করতে হয়। একটি সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

তৃণমূলের এই দুই প্রাক্তনী হলফনামায় নারদ মামলায় অভিযোগের তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ। এই মামলায় মোট ১৩ জনের নাম ওঠে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় কিন্তু হলফনামায় নারদ মামলার তথ্য দিয়েছিলেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির যে যে ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলি তাঁরা উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু মুকুল বা শুভেন্দু কেউই সেই পথ যাননি।

প্রসঙ্গত, নারদ কাণ্ডে টাকা নিয়েছেন মুকুল রায়। এই অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ তাদের হাতে নেই। এমনটাই দাবি করেছিল সিবিআই। অন্যদিকে, দুই বছরেরও বেশি সময় কেটে গেলেও লোকসভার স্পিকারের দফতরে সিবিআইয়ের আর্জি পড়ে আছে। নন্দীগ্রামে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের অনুমোদনই মেলেনি।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in