উপাচার্যের বাংলোর গেটে তালা, বিশ্বভারতীর ৩ পড়ুয়াকে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে আজ SFI-র মিছিল

নিরাপত্তারক্ষীদের বাধা সত্ত্বেও পূর্বিতার গেটে তালা ঝুলিয়েছেন পড়ুয়ারা। গেটের সামনে চৌকি পেতে, বাঁশ বেঁধে ব্যানার, পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছে অস্থায়ী মঞ্চ।
উপাচার্যের বাংলোর গেটে তালা, বিশ্বভারতীর ৩ পড়ুয়াকে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে আজ SFI-র মিছিল
ছবি - সংগৃহীত

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাংলোর গেটেই শুরু হল পড়ুয়াদের অবস্থান-বিক্ষোভ। সোমবার সকালে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল উপাচার্যের বাংলা পূর্বিতার গেটে। পড়ল পোস্টার-ব্যানার। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তি হল। নিরাপত্তারক্ষীদের বাধা সত্ত্বেও পূর্বিতার গেটে তালা ঝুলিয়েছেন পড়ুয়ারা। গেটের সামনে চৌকি পেতে, বাঁশ বেঁধে ব্যানার, পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছে অস্থায়ী মঞ্চ। তাঁরা যে একটুও পিছোতে রাজি নন, তা তাঁদের পদক্ষেপে স্পষ্ট।

সোমবার সকালে ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়ার নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসে। ভর্তি প্রক্রিয়া, কাউন্সেলিং, মেরিট লিস্ট তৈরি সবকিছুতেই উপাচার্যর উপস্থিতি প্রয়োজন। কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। একই কারণে ফলাফল প্রকাশ স্থগিত রাখা হয়েছে।

উল্টোদিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিশ্বভারতীর আধিকারিক এবং অধ্যাপকরা জড়ো হন , অবশ্যই উপাচার্যের নির্দেশে। এক অধ্যাপকের কথায়, উপাচার্য এভাবে পড়ুয়াদের দিকে অধ্যাপকদের লেলিয়ে দিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ বানচাল করতে চাইছেন। পড়ুয়ারাও উপাচার্যের জমায়েত হওয়া অধ্যাপকদের আটকাতে সাইকেল ফেলে, হাতে হাতে ব্যারিকেড তৈরি করেন। ফিরে আসতে বাধ্য হন অধ্যাপকরা।

৩ ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, এখনও বাড়িতে ঘেরাও উপাচার্য

বহিষ্কৃত ছাত্রী তথা এসএফআই নেত্রী রূপা চক্রবর্তী বলেন, 'আমরা গত চারদিন ধরে খোলা আকাশের নীচে রয়েছি। আমাদের সঙ্গে দেখা করার এটা কোন পদ্ধতি! আসলে উপাচার্য নির্দেশেই অধ্যাপকেরা এখানে এসেছিলেন। তবে কোনও সৎ উদ্দেশ্যে নয়, অবস্থান-বিক্ষোভ বানচাল করার উদ্দেশে।' এরপর উপাচার্য ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক বিপ্লব লৌহ চৌধুরী ও কর্মসমিতির সদস্য মঞ্জুমোহন মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকদের বেশিরভাগ প্রশ্নের কোন সদুত্তর মেলেনি।

এদিকে পূর্বঘোষণা মতোই নাগরিক মিছিল হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিদ্বজ্জনেরা প্রত্যেকেই। বিশ্বভারতী অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউফার সভাপতি অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানান, এই আন্দোলনে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগদান করেছেন। দাবি একটাই। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের নেতৃত্বে যে অচলায়তন তৈরি হয়েছে, তা ভেঙে ফেলা।'

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in