

কোঅর্ডিনেশনের অভাব। নিকাশি ব্যবস্থা না করে যে যেভাবে পেরেছে, বহুতলের অনুমোদন দিয়েছে। আমি আসার পর সেটা ঠিক করি। কার্যত স্বীকার করে সাফাই গাইলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, আগে এত বৃষ্টি হত না। তাই খাল সংস্কার নিয়ে জোর দেওয়া হয়নি।
টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের পর জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতা-সহ রাজ্য। তারপর বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি না হলেও জল নামেনি বহু জায়গায়। আবহাওয়া দফতর ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। জমা জলের ভোগান্তি থেকে কবে মুক্তি মিলবে? কেইআইআইপির এই ফেজে জল নিকাশির কাজ চলছে। আগামী বর্ষার আগেই তা শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন ফিরহাদ।
তিনি বলেন, আরবান প্ল্যানিংয়ের নিকাশি পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। এত বৃষ্টি আগে হয়নি। ৩০ বছর বাদে দেখলাম। একটা বড় শিক্ষা পেলাম। খান সংস্কার হয়নি, চিঠি দিয়েছি। আশা করছি ওরা কাজ করবে।
বিরোধীদের প্রশ্ন, প্রতি বছর নিকাশি খাতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে সেই হিসাবে দেখানো হয়। ১১ বছর ধরে পুরবোর্ড তৃণমূলের অধীনে। তাহলে নিকাশি ব্যবস্থার এই হাল কেন? তাদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়নি। তাহলে এই জলযন্ত্রণা সাধারণ মানুষের ভোগ করতে হত না। শুধুই নিকাশির নামে কোটি কোটি টাকা খরচ হিসাবে দেখানো হয়েছে। আদতে কোনও কাজ হয়নি। সেই টাকা কি নেতাদের নিজেদের পকেটে ঢুকেছে?
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার থেকে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সোমবার ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। মঙ্গলবার তা সাগরদ্বীপের উপর দিয়ে ঝাড়খণ্ড চলে যাবে। মঙ্গল-বুধবার কলকাতা-সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার এবং অন্য জেলাগুলোতেও ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে।
ফিরহাদ জানাচ্ছেন, শহরে প্রায় তিন হাজার বিপজ্জনক এবং একশটি অতি বিপজ্জনক বাড়ি। আমরা পুরস্কুলগুলিতে অস্থায়ী শিবির করে এমন বাড়ির বাসিন্দাদের এনে রাখব। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, এ ব্যাপারে সিইএসসি ও কর্পোরেশনের আলোক বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন