
কসবাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বৃহস্পতিবারই সমালোচনা করেছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। তাঁর মতে, চাকরিহারাদের প্রতি পুলিশের মানবিক হওয়া উচিত ছিল।
বুধবার 'যোগ্য' চাকরিহারারা জেলায় জেলায় ডিআই অফিস অভিযান করেছিলেন। কসবা ডিআই অফিসেও ছিল অভিযান। কিন্তু সেই সময় ডিআই নিজের দফতরে ছিলেন না। তালাবন্ধ ছিল দফতর। মিছিল করে সেখানে যান বিক্ষোভকারীরা। এরপরেই বাধে গোলমাল। অভিযোগ ওঠে, কেউ কেউ তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শুক্রবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। তিনি বলেন, “কোনও পরিস্থিতিতেই এটা হওয়া উচিত হয়নি, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। নানা রাজনীতির বলি হচ্ছেন যোগ্যরা। তাঁদের প্রতি আরও মানবিক হওয়া উচিত পুলিশ। এই ইস্যুতে আরও মানবিক হতে হবে”।
এর আগে বৃহস্পতিবার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, “তাঁরা নিশ্চয়ই আইন ভাঙতে বা চ্যালেঞ্জ করতে যায়নি। পুলিশের এ ধরণের আচরণ করা মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়। প্রশাসনের উচিত আরও সংযত থাকা”।
তবে কসবাকাণ্ডে চাকরিহারাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও কেন চাকরিহারারা ডিআই অফিসে গিয়েছিলেন? ব্রাত্য বলেছিলেন, “নেতাজি ইন্ডোরে মিটিংয়ের পর, মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দেওয়ার পর, ডিআই অফিসে গেছিলেন কেন? ঘটনাটা দুর্ভাগ্যজনক এটা যেমন সত্যি, তেমন এটাও সত্যি তাঁদের নেত্রীস্থানীয়র সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমরা বলেছি সর্বোতভাবে, মানবিকভাবে, আইনিভাবে কীভাবে বঞ্চিতদের চাকরি ফেরত দেওয়া যায় দেখা হবে”।
তিনি আরও বলেছিলেন, “যে সরকারের কাছে দাবি করছেন, শিক্ষা দফতর, এসএসসি পাশে আছে, সেখানে আন্দোলন-বিক্ষোভ তো কিছুদিন স্থগিত রাখা যায়। আরেকটু ধৈর্য্য রাখা উচিত। ওঁরা বৈঠকে বসতে চাইছেন, আবার ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের দিকে যাচ্ছেন, দুটো তো একসঙ্গে হতে পারে না। পুলিশ কী করেছে তা নিয়ে তো মন্তব্য করতে পারি না”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন