রাজ্যে বিজেপি-তৃণমূল রাজনৈতিক মেরুকরণে খুশি RSS

রাজ্যে কমিউনিস্ট এবং কংগ্রেস না থাকায় সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে আরএসএসের ভাবধারা প্রসারে কোনও বাধার মুখে পড়তে হবে না বলে মনে করছেন তাঁরা
মোহন ভাগবত
মোহন ভাগবত
Published on

তৃণমূলের ফের ক্ষমতায় আসা এবং রাজ্য থেকে বাম-কংগ্রেস "শূন্য" হয়ে যাওয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আরএসএস। তাদের মতে, বাম-কংগ্রেস না থাকায় বিজেপির আগামী দিনের পথ আরও সুগম হয়েছে। আরএসএস সূত্রের খবর, বিজেপি তিন অংকের সংখ্যায় আসন না পেলেও ৭৬টি আসন প্রাপ্তিকেই সাফল্য হিসেবে দেখছে সংঘ। পাশাপাশি কমিউনিস্ট এবং কংগ্রেস না থাকায় বঙ্গ রাজনীতিতে দুই মেরুকরণের একটিতে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারা গিয়েছে বলে মনে করছে সংঘ।

রাজ্যে কমিউনিস্ট এবং কংগ্রেস না থাকায় সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে আরএসএসের ভাবধারা প্রসারে কোনও বাধার মুখে পড়তে হবে না। একটি সর্বভারতীয় পত্রিকায় পশ্চিমবঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই ফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছেন, বিধানসভায় আমাদের ৭৬ জন বিধায়ক থাকবেন। আমরা প্রধান বিরোধীদল হব। কংগ্রেস ও বামেদের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। এটাই আমাদের বিরোধী রাজনীতিটে বড় সুযোগ করে দেবে। পাশাপাশি কমিউনিস্ট ও কংগ্রেসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তাঁর দাবি, ভোট সুইং করে তৃণমূলকে জিতিয়ে দিয়েছে ওরাই।

তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গবাসী রাজনৈতিক সচেতনতার পরিচয় দিয়ে যেভাবে সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রাখল, তা দেশীয় রাজনৈতিক মহলে প্রশংসা পাচ্ছে যথেষ্ট। তিনি বলেন, আমরা জানতাম পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু ভোট পাবো না। তাই গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল সংখ্যাগুরু ভোটের দিকে। কিন্তু সংযুক্ত মোর্চা সেই স্বপ্নটা নষ্ট করে দিয়েছে। তাঁরা ভোট কেন্দ্রে ধর্মীয় মেরুকরণ করে ভোট দেয়নি। সংযুক্ত মোর্চা নিজেদের বিশ্বাস স্থাপন করতে না পারলেও তাদের সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী, মোদি বিরোধী প্রচার মানুষের মনে দাগ কেটেছে।

আরএসএস সূত্রের খবর, বাংলার সংসদীয় রাজনীতিতে এই প্রথমবার তৃণমূল-বিজেপি রাজনীতি শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ১০ বছরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে এই প্রথমবার বাংলায় সচ্ছন্দে বিজেপি রাজনীতি করতে পারবে। মনে করা হচ্ছে, বিজেপি-তৃণমূল রাজনৈতিক মেরুকরণ স্থায়ী হলে, তৃণমূলের অত্যাচারী রাজনীতির চলতে থাকলে, মানুষ কতদিন আর বিজেপিকে বিরোধী দলের আসনে বসিয়ে রাখবে! সেই জায়গা থেকে আশাবাদী আরএসএস।

ফল প্রকাশের পর প্রবীণ বামনেতা বিমান বসু বলেছেন, বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিজেপি বাংলায় একটি সামাজিক স্থায়ী ক্ষত তৈরি করেছে, যা বাংলার সমাজ-সংস্কৃতিতে ক্ষতি করতে পারে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in