Rajya Sabha Candidate: জহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া আসনে রাজ্যসভায় তৃণমূল প্রার্থী ঋতব্রত ব্যানার্জি

People's Reporter: আর জি কর কাণ্ডের আবহে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন জওহর সরকার। এখনও ১৫ মাসের মেয়াদ ছিল জহর সরকারের।
মমতা ব্যানার্জি এবং ঋতব্রত ব্যানার্জি
মমতা ব্যানার্জি এবং ঋতব্রত ব্যানার্জিফাইল ছবি
Published on

রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল তৃণমূল। শাসক দল প্রার্থী করেছে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শনিবার সমাজমাধ্যমে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল তৃণমূল। উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত সেপ্টেমর মাসে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জহর সরকার। তারপর থেকে ফাঁকাই ছিল আসনটি। এখনও ১৫ মাসের মেয়াদ ছিল জহর সরকারের।  

এদিন সমাজ মাধ্যমে তৃণমূল জানায়, ‘আসন্ন রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। ওঁকে আমরা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করব, উনি রাজ্যসভায় তৃণমূলের যোগ্য উত্তরাধিকার বহন করবেন এবং প্রত্যেক ভারতীয়ের অধিকারের কথা বলে যাবেন।’

অন্যদিকে, ঋতব্রতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি সমাজ মাধ্যমে লেখেন, ‘ঋতব্রত এই মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। রাজ্য জুড়ে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং ট্রেড ইউনিয়নের কর্মীদের জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন। সময় লাগতে পারে, কিন্তু পরিশ্রমের দাম সবসময়ই পাওয়া যায়।’

উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ডের আবহে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন জওহর সরকার। এমনকি রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণাও করেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন জহর। তাতে তিনি লিখেছিলেন, ‘গত এক মাস ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি, আপনি কেন সেই পুরনো মমতা ব্যানার্জির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যে সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এককথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’

একসময়ে সিপিআইএম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের নেতা ছিলেন ঋতব্রত। আশুতোষ কলেজে পড়াশোনার সময়ে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। ২০১৪ সালে সিপিআইএম তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি বিতর্কিত ঘটনার জন্য ২০১৭ সালে সিপিআইএম তাঁকে বহিষ্কার করে। এরপর তৃণমূলে যোগ দেন ঋতব্রত। ২০২১ সালের ভোটের পর তাঁকে শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি করা হয়। এ বার তৃণমূল তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in