বৃদ্ধ স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী। দাহ করবেন কীভাবে, কিছুই ভেবে কূলকিনারা করতে পারছিলেন না। দুই মেয়ে বিবাহসূত্রে বাইরে থাকেন। তাঁদের পক্ষে আসা সম্ভব হয়নি। আর পাড়া-প্রতিবেশীরা মুখ ফিরিয়েছেন। আতঙ্কে কেউ এগিয়ে আসেননি তাঁর সৎকারের জন্য। খবর পেয়ে ছুটে এলেন রেড ভলান্টিয়াররা। তাঁরাই মৃতদেহ বের করে শ্মশানে নিয়ে দাহ করার ব্যবস্থা করেন।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের রাসতলা এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সুধীর কুমার নন্দীর (৮২) মৃত্যু হয় সোমবার। কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন সুধীরবাবু।দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছিল আগেই। রবিবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এলাকার কয়েকজন যুবক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে আসেন। তারপরে বিষ্ণুপুরের ভলান্টিয়ার বিশ্বজিৎ ঘোষের কাছে ফোন করে সাহায্য চান তাঁর মেয়ে। ওই রাতেই তাঁরা হাসপাতলে গিয়েছিলে। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন।
সুবীরবাবুর অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। ফুসফুস ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সোমবার তিনি মারা গেলে দিশেহারা হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী। পাড়া-প্রতিবেশী কেউ এগিয়ে আসেননি। শেষপর্যন্ত ভলান্টিয়ারদের সাহায্যে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়। সদ্য স্বামীহারা চন্দনাদেবী বলেন, এই ছেলেরাই তো আমার সন্তান। গত বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রমথ নাথ ঘোষের মেয়ে বিষ্ণুপুরের ঠাকুরপাড়ার বাসিন্দা মাধবী মণ্ডল মারা যান। বাড়িতে ছিলেন তার একমাত্র মেয়ে সুমিত্রাদেবী। মৃত মায়ের দেহ সরকারের জন্য পাড়া-প্রতিবেশী কাউকে পাননি। খবর বৃদ্ধের মৃতদেহ দাহ করেন রেড ভলান্টিয়াররাই।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।