
শেষ পর্যন্ত রাজ্যের সিদ্ধান্তেই সম্মতি দিতে চলেছে রাজভবন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নবান্ন থেকে পাঠানো প্রথম নাম অর্থাৎ প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে বেছে নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত প্রথম থেকেই ছিল। রাজভবনের অভিযোগ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য রাজ্য কেবলমাত্র একটি নাম পাঠিয়েছে (রাজীব সিনহা)। ফলে নবান্নের কাছে একাধিক নাম চায় রাজভবন। দ্বিতীয় নাম হিসেবে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদমর্যাদার আধিকারিক অজিতরঞ্জন বর্ধনের নাম পাঠিয়েছিল নবান্ন। তাতেও রাজি হননি রাজ্যপাল। তৃতীয় নাম চাইলে নবান্ন তা দেয়নি। বেশকিছু দিন ধরেই সমস্যা চলছিল। এবার তা সমাধান করলেন খোদ রাজ্যপাল। নবান্নের প্রথম পাঠানো নামটাই বেছে নিলেন তিনি।
এর আগে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সৌরভ দাস। তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৮ মে। নির্বাচন কমিশনার না থাকলে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাই অসম্ভব। ফলে রাজ্যপাল অনুমোদন দেওয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণাতেও কোনো সমস্যা থাকলো না। অনুমান করা হচ্ছে আগামী এক মাসের মধ্যেই হয়তো পঞ্চায়েতের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।
অন্যদিকে, বিরোধীরা বিশেষ করে বাম ও কংগ্রেস প্রথম থেকেই দাবি করছে রাজ্যের মানুষকে ভুল বোঝানোর জন্য রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত দেখানো হচ্ছে। আর পঞ্চায়েত ভোট ইচ্ছাকৃত ভাবেই তৃণমূল করতে চাইছে না। শাসকদলের একাধিক নেতা জেলে রয়েছেন। মানুষ টেলিভিশনের পর্দায় তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতি দেখছে। গ্রামের মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। তাই নির্বাচন যত পিছিয়ে দেওয়া যায় ততই তৃণমূলের লাভ। এই অবস্থায় যদি ভোট করায় তাহলে তৃণমূল হেরে যাবেই বলেই মত বিরোধীদের।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন