“রাজীবকে তৃণমূলে ফেরানো যাবে না”, হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করে প্রতিবাদ তৃণমূল কর্মীদের

রাজীবের দলবদল ঘিরে যখন জল্পনা চলছে, তখন কুণাল ঘোষের সঙ্গে তাঁর বৈঠক নয়া মাত্রা যোগ করে। যদিও রাজীব দাবি করেন, রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা হয়নি।
“রাজীবকে তৃণমূলে ফেরানো যাবে না”, হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করে প্রতিবাদ তৃণমূল কর্মীদের
নিজস্ব চিত্র
Published on

রাজীবের (Rajib Banerjee) বিরুদ্ধে পথে নামলেন ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কর্মীরা। রাজীবকে যাতে না ফেরানো হয় দলে, এই দাবি জানিয়ে হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করেন তাঁরা। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে মরিয়া জোড়াফুল শিবিরেরই কর্মীরা। বিগত কয়েকদিনে রাজীবের বিরুদ্ধে ডোমজুড়ের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার পড়েছে, যেখানে 'মীরজাফর', 'গদ্দার', 'বেইমান' বলে কটাক্ষ করা হয়েছে রাজীবকে।

মুকুল‌ রায় তৃণমূলে ফিরে আসার পর কাকতালীয়ভাবে বিভিন্ন তৃণমূল নেতাদের সাথে দেখা যাচ্ছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গত শনিবার আচমকাই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বাড়িতে দেখা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখান থেকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণও করেন তিনি। শনিবারের পর রবিবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান রাজীব। শিল্পমন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়েই সেখানে যান রাজীব।

BJP-র বিরুদ্ধে মুখ খোলার পর যেভাবে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে নৈকট্য বাড়াচ্ছেন, তা রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রাজীব দাবি করেন, এগুলোর সাথে রাজনীতির কোনো যোগাযোগ নেই নিয়ে কোনও কথা হয়নি।

এমন প্রেক্ষাপটে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলে যাতে ফেরানো না হয়, সেই দাবিতে যেভাবে বিক্ষোভের সুর চড়া হচ্ছে, তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের মুখে তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব। পদ্মপ্রতীকে এবারের নির্বাচনে ডোমজুড়ে হেরে গিয়েছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারে রাজীবকে বিঁধেছিলেন মমতা। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাজীবও। তৃণমূলে মুকুলের প্রত্যাবর্তনের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, সবাইকে দলে ফেরানো হবে না। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী বলেন, 'যাঁরা গদ্দারি করেছেন, চরমপন্থী, নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের নেব না'। সেই সঙ্গে মমতা এও বলেন, 'আগামী দিনে আরও অনেকেই BJP ছেড়ে তৃণমূলে ফিরবেন'। মুকুল রায়ও এদিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, 'আগামী দিনে আরও অনেকে ফিরবেন'।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in