রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন মোহিত সেনগুপ্ত। গত লোকসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেস জোট ভাঙ্গার দায় স্বীকার করে এবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন। ২০১৯ নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস আসন সমঝোতা হওয়া সত্ত্বেও জোট না মেনে রায়গঞ্জে কংগ্রেস দীপা দাশমুন্সিকে প্রার্থী করেছিল। সিপিএমের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। কিন্তু তিনি হেরে যান। সেই ঘটনার উদাহরণ টেনে শনিবার রায়গঞ্জে বিধান মঞ্চে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন মোহিত সেনগুপ্ত। যদিও সিপিএম নেতা উত্তম পাল জানিয়েছেন, মোহিত সেনগুপ্ত আবেগতাড়িত হয়েই ক্ষমা চেয়েছেন। এর কোন প্রয়োজন ছিল না। সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের জয়ী করাই হচ্ছে তাদের প্রধান লক্ষ্য।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের হয়ে মোহিত সেনগুপ্ত রায়গঞ্জে প্রার্থী হয়েছিলেন। রায়গঞ্জের সিপিআইএম নেতা-কর্মীরা নিঃস্বার্থ ভাবে কংগ্রেস প্রার্থীর জন্য লড়াই করেছিলেন। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে জোট ভেঙে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে দীপা দাসমুন্সীকে দাঁড় করায় কংগ্রেস। যার জেরে আসন সমঝোতা ভেস্তে যায়। যদিও সেবার কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দুটি আসনে বামেরা কোনো প্রার্থী দেয়নি। এবারও বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে সংযুক্ত মোর্চার সমঝোতায় রায়গঞ্জ বিধানসভা আসন কংগ্রেসের।
কিন্তু উনিশের নির্বাচন ভুলে যাননি বাম কর্মী-সমর্থকরা। সেবার কংগ্রেস বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এই অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার বাম কর্মী সমর্থকরাই। শনিবার রায়গঞ্জ বিধানমঞ্চে সংযুক্ত মোর্চার কনভেনশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন মোহিত সেনগুপ্ত। তিনি স্পষ্ট জানান, উনিশের নির্বাচনে জোট প্রার্থীর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী দেওয়া ঠিক হয়নি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।