ভোটে লড়াই আর না করলেও বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান থাকছেন রবিরঞ্জন

রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ফাইল ছবি, ফিকির সৌজন্যে
Published on

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আর লড়বেন না। সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর এই সিদ্ধান্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েও দিয়েছেন। প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকেও। যদিও এই চিঠি তিনি লিখেছিলেন ১১দিন আগে, ৩০ জানুয়ারি। আজ সকালে তাঁর ট্যুইটের পরে তা প্রকাশ্যে আসে। তবে ভোটে না লড়াই করলেও এখনই তিনি বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যাচ্ছেন না।

দুটি পর্যায়ে বর্ধমানের মানুষের জন্য কাজ করেছেন রবিরঞ্জন। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি জানান, তাঁর সরে দাঁড়ানোর কারণ শারীরিক অসুস্থতা। তিনি রাজনীতি থেকেও অবসর নিতে চান। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভার শেষ অধিবেশনে তিনি যোগ দিয়েছিলেন।

এদিন রবিরঞ্জন নিজের টুইটার হ্যান্ডলে লেখেন, 'আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমার বয়স ও শারীরিক কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলনেত্রীকেও এই বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি। আমার প্রিয় বর্ধমানবাসীদের ধন্যবাদ জানাই ও তাঁদের কল্যাণ কামনা করি।'

বর্ধমানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। ইদানীং তা বেড়েছে সিপিআইএম থেকে বিজেপি হয়ে আইনুল হক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর। একসময়ে সিপিআইএমের দাপুটে নেতা ছিলেন তিনি। কিন্তু পুরসভার প্রাক্তন এই চেয়ারম্যানকে মানবেন না বলে প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলের আর এক দাপুটে নেতা খোকন দাস। রাজ্য নেতৃত্বও বর্ধমানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রাশ টানতে পারেনি। বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, আইনুল ও খোকন দুজনেই প্রার্থীপদের প্রত্যাশী। তার মধ্যেই বেড়েছে বিজেপি।

২০১১ সালে নিরুপম সেনকে ৩০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় আসেন রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। ২০১৬ সালেও রেকর্ড মার্জিনে জেতেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই অধ্যাপক।

সূত্রের খবর, এবার আর টিকিট পাবেন না, সেটা বুঝতে পেরেই হয়তো সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা বা বিডিএ-র চেয়ারম্যান পদও ছাড়বেন কি না, নজর সেদিকেই।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in