প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা । সেই মিছিলকে ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠল নবান্ন চত্বর।
২০১৪ সালে টেট পরীক্ষাতে পাশ করেও এখনও চাকরি মেলেনি অনেকের। এই অভিযোগকে সামনে রেখে নবান্ন অভিযান করেছিলেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। অভিযোগ, মিছিল করার সময় পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন তাঁরা। বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ২০১৪ সালে পাশ করেও চাকরি দেয়নি সরকার। এদিকে ফেল করেও অনেকের চাকরি হয়ে যাচ্ছে। এটা কোনো ভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
এদিন মিছিলে অনেকেই রুটি হাতে এসেছিলেন। তাদের দাবি ছিল, সরকার যেনো তাদের রুটিটুকু জোগানোর ব্যবস্থা করে দেয়। তাঁরা স্পষ্ট জানান, 'আমরা ৫০০ টাকা ভাতা চাই না। আমরা আমাদের ন্যায্য চাকরি চাই।' পুলিশ মিছিল আটকাতে গেলে রাস্তাতেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা চলছে। ২০১৯ সালে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ থাকা স্বত্ত্বেও বোর্ডের তরফে কোনও হলফনামা দেওয়া হয়নি। তাই রমেশ আলী নামে ওই মামলাকারী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে পুরো বিষয়টি জানান। কারণ সম্প্রতি প্রাথমিকের যাবতীয় মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে স্থানান্তরিত হয়েছে।
সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিলেন রমেশ আলী। রমেশের অভিযোগ, টেট পরীক্ষায় ফেল করেও সুব্রত মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন। তিনি বর্তমানে কর্মরত। ২০১৯ সালে এই নিয়ে মামলা করেছিলেন রমেশ আলী। কিন্তু আদালতে মামলার শুনানি হলেও সুবিচার মেলেনি বলেই জানিয়েছেন রমেশ। আগামী বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, টেট উত্তীর্ণদের নবান্ন অভিযানের পাশাপাশি মির্জা গালিব স্ট্রিটে খাদ্য ভবনের সামনেও এদিন বিক্ষোভ দেখান বহু চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, খাদ্য দপ্তরে সাব-ইন্সপেক্টর পরীক্ষায় পাস করে প্যানেলে নাম প্রকাশিত হয় ৯৫৭ জনের। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ১০০ জনকে চাকরি দিলেও বাকিদের কোনো কিছু জানানো হচ্ছে না। এই নিয়েও আদালতে মামলাও হয়েছে বলে জানা গেছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।