বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাতের অন্ধকারে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানা এলাকায়। অভিযুক্তের নাম আনন্দ দাস (৩০)। তিনি মারিশদার কইতোড় অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানা এলাকার অন্তর্গত কইতোড় গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনাটির জেরে ইতিমধ্যেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
সূত্রের খবর, নাবালিকাটি নবম শ্রেণীর ছাত্রী। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকার অন্তর্গত মশাগাঁ গ্রামে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, বিজয়া দশমীর রাতে সদলবলে তাঁদের বাড়িতে হানা দেন তৃণমূলের যুব সভাপতি আনন্দ। নাবালিকাকে জোর করে বিয়ে করতে চান তিনি বলে দাবি পরিবারের। নাবালিকা অস্বীকার করলে বলপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যেতে চান তৃণমূল নেতা, তখন রুখে দাঁড়ান নাবালিকার বাবা গদাধর ভুঁইয়া।
নাবালিকার পরিবারের আরও অভিযোগ, তীব্র বচসার জেরে মেয়েটি এবং তাঁর বাবাকে মারধর শুরু করেন তৃণমূল নেতা এবং তাঁর দলবল। এরপর জোর করে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। যাওয়ার আগে মেয়েটির বাবা-মাকে হুমকি দিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলেন - তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী, সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই কাজ করবে না। পুলিশ, আদালত দিয়েও কোনও লাভ হবে না।
পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি অভিযুক্ত আনন্দ দাসের বিরুদ্ধে মারিশদা থানায় লিখিত এফআইআর (FIR) দায়ের করেছেন নাবালিকার বাবা। কিন্তু ঘটনার এতদিন পর অভিযোগ দায়ের করা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তবে নাবালিকার পরিবারের দাবি, চাপের মুখে পড়ে এতদিন পুলিশকে কিছু জানাতে পারেননি তাঁরা। জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগেও একবার নাবালিকাকে বাড়ি থেকে জোর করে নিয়ে গিয়েছিলেন আনন্দ। সেইসময় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল নাবালিকার পরিবার। কিছুদিন পর নাবালিকাকে উদ্ধার করে তারা। এই নিয়ে পরে একদিন তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন আনন্দ। কেন পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্ন তুলে বেধড়ক মারধর করেন নাবালিকার বাবা-মাকে। এরপর ফের দশমীর রাতে একই ঘটনা ঘটায় আনন্দ। মেয়েটির পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কিন্তু এই বিষয়ে জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।