হাওড়ার মঙ্গলাহাট অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে প্রোমোটার যোগ! এমনটাই অভিযোগ করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, এক প্রোমোটার ষড়যন্ত্র করে আগুন লাগিয়েছেন।
যত সময় গড়াচ্ছে মঙ্গলাহাট অগ্নিকান্ড নিয়ে নানান তথ্য সামনে আসছে। প্রথমে অনুমান করা হয়েছিল অসাবধানতাবশত আগুন লাগে এবং প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকায় তা দ্রুত ছড়িয়ে যায়। কিন্তু পরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থানীয় প্রোমোটার শান্তিরঞ্জন দে পরিকল্পনা করেই হাটে আগুন ধরিয়েছেন। তিনি অনেক দিন ধরেই চাইছেন হাট ভেঙে প্রোমোটিং করবেন। নিজের জমি বলে দাবি করছেন তিনি এই জায়গাকে। বহুতল নির্মাণের জন্য চাপও দিচ্ছিলেন ব্যবসায়ীদের। কিন্তু তাঁরা কেউ রাজি হননি বলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন দোকানে ওই প্রোমোটার।
শুক্রবার ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশের শেষে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি অবিলম্বে ওই প্রোমোটারকে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর তোলাবাজিও হয় ওই হাটে বলে তাঁদের।
মুখ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে বলেন, এই হাটে দু'বার আগুন লেগেছে। তাই নিকটবর্তী একটি স্থানে হাটটি স্থানান্তরিত করা উচিত। ব্যবসায়ীরা চাইলে সরকার জমি দেবে। হাটের জমির বিষয় খতিয়ে দেখবেন ডিএম। ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি । যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এফআইআর করুন।
তিনি আরও বলেন, 'যদি জায়গাটা সরকারের হয় তাহলে আমরাই করে দেবো। যাঁরা নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে চায় তাদের সাহায্য করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সরকারের 'ভবিষ্যত' প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। সেখানে আবেদন করতে পারেন। দোকানের মালিককে আবেদন করতে হবে'।
উল্লেখ্য, গতকাল রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আগুন লাগে এই হাটে। বিধ্বংসী আগুনে প্রায় আড়াই হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।