Rail Privatization: সিমলাগড় স্টেশনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিল রেল, ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা

প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়। তা সত্ত্বেও এই স্টেশনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হল। ১ এপ্রিল নির্দেশিকা জারি হয়। টিকিট কাউন্টার সহ গোটা প্ল্যাটফর্ম বেসরকারি সংস্থার হাতে চলে যায়।
Rail Privatization: সিমলাগড় স্টেশনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিল রেল, ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা
ছবি - সংগৃহীত
Published on

সিমলাগড় স্টেশনকে বেসরকারিকরণ করা হবে। এর প্রতিবাদে এবার সরব হলেন নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। রবিবার স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সামনে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ চলে তাঁদের।

এই স্টেশনের ওপর সংলগ্ন এলাকার মানুষ কতটা নির্ভরশীল, তা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে স্পষ্ট করেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, এটি হল্ট স্টেশন। ফলে বিভিন্ন জায়গার টিকিট পাওয়া সম্ভব হবে না। সঠিক স্টেশনের রেল টিকিট পাওয়া যাবে না। বেশিরভাগ ট্রেন দাঁড়াবে না। এই স্টেশনে সিমলাগড় ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ ছাড়াও সরাই, তিন্না গ্রাম ও পাঁচগড়া তোর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ব্যবহার করেন।

এই স্টেশনের মাধ্যমে সবজি ও ছানা ব্যবসায়ীরা কলকাতা ও শহরতলিতে যাতায়াত করেন। প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়। তা সত্ত্বেও এই স্টেশনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হল। এই আন্দোলন তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে জানান। তাঁদের দাবির সমর্থনে চলে সই সংগ্রহ অভিযান। গত ১ এপ্রিল এই নির্দেশিকা জারি হয়। তারপরেই টিকিট কাউন্টার-সহ গোটা প্ল্যাটফর্ম বেসরকারি ঠিকাদারের হাতে চলে যায়।

স্থানীয় যাত্রীদের অভিযোগ, সব স্টেশনের টিকিট এখান থেকে পাওয়া যাবে না। ওয়েবসাইট থেকে সিমলাগড়ের নাম উঠে গিয়েছে। মোবাইলে আগে টিকিট কাটা গেলেও এখন যাচ্ছে না। ফলে ব্রেক জার্নি করতে হবে। বর্তমানে অন্য স্টেশন থেকে পুরনো টিকিট নিয়ে এসে স্ট্যাম্প মেরে দেওয়া হচ্ছে। লাভজনক স্টেশন হওয়া সত্ত্বেও এই স্টেশনকে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। এরপর হয়তো অনেক ট্রেন স্টেশনে দাঁড়াবে না, আশঙ্কা তাঁদের।

Rail Privatization: সিমলাগড় স্টেশনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিল রেল, ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা
Toy Train Privatization: টয়ট্রেনের বেসরকারিকরণের ক্ষুব্ধ পাহাড়বাসী, আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in