নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নাজেহাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষকরে সীমিত আয়ের ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তারপরও বাজারদর নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও। ফলে বাজার এবং মানুষের জীবনে এক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
একসময় দেখা গেছে, ফাটকা বাজারী ও অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের বাজারে বাজারে নজরদারি চালানোর জন্য টাস্কফোর্সকে মাঠে নামাতেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, বর্তমানে সে সব আর চোখে পড়ে না আমজনতার। বাজারে চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৪০ টাকার উপর চলে গেছে। আদা, কাঁচা লঙ্কার দাম ছুঁয়েছে ১৫০ টাকা প্রতি কিলো।
বৃহস্পতিবার, খোলা বাজারে পেঁয়াজ ২৫ টাকা প্রতি কিলো, উচ্ছে ৬০ টাকা প্রতি কিলো, জ্যোতি আলু ৩০ টাকা প্রতি কিলো, পটল ৪০-৫০ টাকা প্রতি কিলো, গাজর ৪০ টাকা প্রতি কিলো, বেগুন ৮০ টাকা প্রতি কিলো, টমেটো ১০০ টাকা প্রতি কিলো, ঢেঁড়স ৪০ টাকা প্রতি কিলো বিক্রি হয়েছে। আর মাছ বাজারে বাটা মাছের দাম ১৭০ টাকা প্রতি কেজি, ভেটকি ৩৫০-৫০০ টাকা প্রতি কেজি, কাতলা (গোটা) ২৫০ টাকা প্রতি কেজি, কাতলা (কাটা) প্রতি কেজি ৩৪০ থেকে ৪০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই (গোটা) ১৮০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা প্রতি কেজি।
ফলে মাছ-ভাত প্রিয় সাধারণ বাঙালির কাছে প্রত্যেকদিনের পাতে মাছ তুলে নেওয়া বেশ অস্বস্তিদায়ক হয়ে পড়েছে। আর রান্নার তেলের দাম যেন জ্বালানি তেলের (পেট্রোপণ্য) সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। রিফাইন্ড এবং সর্ষের তেলের দাম হয়েছে প্রতি লিটার ২০০ থেকে ২২০ টাকা।
একইসঙ্গে বেড়েছে বিভিন্ন ফলের দাম। আর এই আকাশছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধির কারণ অনেকেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে দুষছেন। দমদমের একাধিক খুচরো বিক্রেতা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য পরিবহন খরচ বেড়েছে। যে কারণে ব্যাপকভাবে বেড়েছে মূল্য। বাজারে আলু থেকে শুরু করে শাক সবজির দাম এই কারণেই বৃদ্ধি হয়েছে।
খুচরো বিক্রেতাদের দাবি, যতদিন পর্যন্ত না জ্বালানি তেলের দাম কম হবে, ততদিন এই মূল্যবৃদ্ধি রোখা যাবে না। অন্যদিকে ক্রেতারা এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত। তাঁরা বলছেন, এই মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ না করলে, সাধারণ মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকা দুষ্কর হবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।