বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, বেআইনিভাবে বালি-মাটি পাচার করা হচ্ছে। এবার এই একই অভিযোগ তুললেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক। বেআইনিভাবে মাটি ও বালি পাচারচক্রের সঙ্গে শাসক দল ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের আঁতাতের অভিযোগ করেছেন তিনি।
মালদা জেলাজুড়ে বালি মাফিয়ার দৌরাত্ম্য বাড়ছে। আগেই এই অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। এবার রতুয়ার তৃণমূলের বিধায়কের দাবি ঘিরে শোরগোল জেলা রাজনীতিতে। কী অভিযোগ করলেন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়? তাঁর অভিযোগ, বালি মাফিয়াদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের পাচার করতে মদত দিচ্ছে রতুয়া থানার আইসি। শুধু এই অভিযোগ করে থেমে থাকেননি তিনি। ফুলহার নদীবাঁধের ভবিষ্যত নিয়েও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, এভাবে যদি মাটি মাফিয়ারা তাদের পাচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে থাকে, তাহলে যেকোনও সময় ফুলহার নদীর বাঁধ ভেঙে পড়বে। বিধায়ক জানান, তিনি এব্যাপারে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, এডিজি-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন বলে স্থির করেছেন।
এদিকে এই অভিযোগ স্বীকার করতে চাননি জেলা পুলিশ। মালদার পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতির দাবি, পুলিশ কোনওরকম অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়।
বেআইনি মাটি কাটার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীও। বুধবার রতুয়ায় ফুলহার নদীর বাঁধ মেরামতির কাজের সূচনা করেন সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন সমর মুখোপাধ্যায়ও। সেখানে বাঁধের মাটি কাটার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। তাঁর অভিযোগ, বালি-মাটি মাফিয়ারা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ, এই পরিচয় দিয়ে বেআইনি ভাবে মাটি কাটা চলছে।
সেচ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'সভাপতির মামা, প্রধানের ভাই, সভাধিপতির ভাইপো, এসব পরিচয় দিয়ে বাঁধের মাটি কেটে নিয়ে চলে যাবে। তা কিন্তু বরদাস্ত করা হবে না।' এমন ঘটনা রুখতে এবার থেকে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি বলেন, 'ছোট ছোট জায়গায় মাটি কাটার কাজ করছে। আমরা প্রশাসনকে বলেছি। প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।