দত্তপুকুর বিস্ফোরণ-কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার, ধৃতের নাম শফিক আলি

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলির সহযোগী হিসেবে কাজ করেন শফিক আলি। রবিবার গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। আজ আদালতে পেশ করা হতে পারে তাকে।
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাড়ি
ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাড়িছবি সংগৃহীত

দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এই প্রথম কাউকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। ধৃতের নাম শফিক আলি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলির সহযোগী হিসেবে কাজ করেন শফিক আলি। রবিবার গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। আজ আদালতে পেশ করা হতে পারে তাকে।

রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুর থানা এলাকার মোচপোল গ্রাম। এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন বহু। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতোটাই ছিল যে বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশেপাশের একাধিক বাড়ি।

বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলির সঠিক সন্ধান এখনও জানা যায়নি। স্থানীয়দের একাংশের মতে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। আবার কারও কারও মতে, রবিবারই সপুত্র মৃত্যু হয়েছে তার।

বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে আইএসএফ-এর হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথিন রায়। আবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এই ঘটনার জন্য শাসকদল তৃণমূলকে দায়ী করে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন। নিহতদের দশ লক্ষ টাকা ও আহতদের পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছে সিপিআইএম।    

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in