মন্ত্রী বাছাইয়ে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা ব্যক্তিদের বাড়তি গুরুত্ব, চাপা ক্ষোভ বঙ্গ বিজেপিতে

দলের একাংশের বক্তব্য নতুন এই চার মন্ত্রীর মধ্যে একমাত্র সুভাষ সরকার ছাড়া বাকি তিনজনই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন। দলের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক খুব বেশিদিনের নয়।
সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর, জন বারলা,  নিশীথ প্রামাণিক,
সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর, জন বারলা, নিশীথ প্রামাণিক, ফাইল চিত্র
Published on

আগে দু'জন ছিলেন। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর সেই সংখ্যাটাই বেড়ে দাঁড়াল চারে। যদিও তাতে খুশি নন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। কারণ, বাংলা থেকে দলে সাংসদের সংখ্যা ১৮। কিন্তু নতুন করে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা কেউই পূর্ণমন্ত্রী হননি। ফলে বঙ্গ বিজেপিতে একটা চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যদিও মুখে কেউ কিছু তা নিয়ে বলতে নারাজ।

গতকালের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের পর দেখা গিয়েছে, মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁরা দুজনেই প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বাবুলের মন্ত্রিত্বের সময়সীমা সাতবছর। এই দুই প্রতিমন্ত্রীর বদলে নতুন মন্ত্রিসভায় বাংলা পেয়েছে চারজন প্রতিমন্ত্রী। পদ পেয়েছেন বাঁকুড়ার সাংসদ চিকিৎসক সুভাষ সরকার, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আরও কয়েকজন সাংসদ মন্ত্রী হবেন বলে আশাবাদী ছিলেন রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু তা না হওয়ায় তাঁরা হতাশ।

বঙ্গ বিজেপির ক্ষোভের কারণ অবশ্য সম্পূর্ণ অন্য। দলের একাংশের বক্তব্য নতুন এই চার মন্ত্রীর মধ্যে একমাত্র সুভাষ সরকার ছাড়া বাকি তিনজনই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন। দলের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক খুব বেশিদিনের নয়। তাঁদের দলীয় কর্মসূচিতেও সবসময় দেখা যায় না বলে দলের অন্দরেই ক্ষোভ রয়েছে। সূত্র অনুসারে, বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কানে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী পদ হারানোয় ক্ষুব্ধ অনেকেই।

এমনকি বাবুল নিজেও ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেলেছিলেন ফেসবুকে। যদিও পরে সেই পোষ্ট তিনি তুলে নেন। তবে সংগঠনে তাঁদের নতুন দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ আশাবাদী। বাবুল সুপ্রিয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়ে মুখ খুললেও এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তাঁর মতে, সরকারে এধরণের বদল হয়েই থাকে। যাঁদের দল বা সরকারে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদেরই মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in