
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কৃষকদের সুবিধার্থে তৈরি হওয়া কিষাণ মান্ডি এখন আগাছা- জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। রাজ্যের বেশিরভাগ কিষাণ মান্ডি কৃষকদের কোনও কাজে লাগে না। মান্ডিগুলির বেশিরভাগই স্টোর রুম নয়তো গ্যারেজে পরিণত হয়েছে। কোথাও আবার শাসকদল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। বর্ধমান হোক বা সিঙ্গুর সর্বত্র একই চেহারা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বাংলায় ১৮৬টি কিষান মান্ডির জন্য রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছিল পাঁচ কোটি টাকা। হুগলির ১১টি ব্লকে ১০টি কৃষক মান্ডি রয়েছে। সিঙ্গুরে একটি সুফল বাংলাও করেছে সরকার। তার মধ্যে আরামবাগ, সপ্তগ্রাম ও পুরশুড়ার কিষান মান্ডিগুলির অবস্থা শোচনীয় বলে অভিযোগ। সরকারি সূত্রের খবর, ঠিকমতো ক্রেতা-বিক্রেতা না থাকায় কিষান মান্ডি অচল হয়ে পড়েছে। তার মধ্যেও পুরশুড়াকে সচল করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু আরামবাগ বা সপ্তগ্রামে এই বাজারের কোনও ভূমিকা নেই।
পূর্ব বর্ধমানের ২৩টি ব্লকে মোট ২০টি কিষাণ মান্ডির মধ্যে চালু রয়েছে চার-পাঁচটি। বাকিগুলো ফাঁকা অবস্থায় পড়ে থেকে আগাছায় ভরে গিয়েছে। সেখানে মাঝেমধ্যে সহায়ক মূল্যে ধান কেনাবেচা, করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া-সহ বিভিন্ন কাজ হয়। বর্ধমানের রায়না ব্লকে কৃষক বাজারে শাসক দলের 'কার্যালয়' গড়ে তোলা হয়েছিল। যদিও গত বছরের শেষের দিকে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি শাসক দলের।
ছোট ব্যবসায়ীদের মতে, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী এইগুলো তৈরি হলে স্থায়ীভাবে তাঁরা ব্যবসা করতে পারতেন। কারণ, ফুটপাতে তাদের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করতে হয়। বিরোধীদের দাবি, এগুলি সরকারি অর্থের অপব্যয় ৷
অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলা কৃষি দফতর সূত্রের খবর, কিষান মান্ডিগুলি যে উদ্দেশ্য নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল, তা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। সেখানে যে সব দোকান ঘর পড়ে আছে, কোনও ব্যবসায়ী নিয়ম মেনে সেই দোকান ঘর ভাড়া নিতে পারেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন