
নির্বাচনে হারার পর থেকে রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল যোগ ক্রমশ বাড়ছিল। নজর এড়ায়নি কারুর। কখনো কুনাল ঘোষের বাড়ি, আবার কখনো পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাতৃশোকে সমবেদনা জানাতে ছুটে গিয়েছেন। বুধবারও তার ব্যতিক্রম নয় কাঁচরা পাড়ায় সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের স্ত্রী বিয়োগে সমবেদনা জানাতে ছুটে গিয়েছিলেন। তারপরই বিজেপি দলের মধ্যে থেকেই বিরোধী দলনেতাকে প্রকাশ্যে তীব্র আক্রমন শনালেন রাজীব।
এদিন সোশাল মিডিয়ায় রাজীবের কটাক্ষ ভরা পোস্টের পর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। রাজীবের তৃণমূলে যোগদান কি তবে শুধু সময়ের অপেক্ষা? প্রশ্ন এখন সবার কাছে। সম্প্রতি, সূত্র মারফত জানা গিয়েছিলো, তৃণমূল ত্যাগীদের একটা বড় অংশ মুকুলের রায়ের কাছে দলে ফিরতে চেয়ে ফোনে আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়েছিলেন, সব দলত্যাগীদের দলে নেওয়া হবে না। তারপর থেকেই দলত্যাগী দের তৃণমূলে ফেরত আসায় অনেকটা ভাটা পড়েছে।
কিন্তু এদিন কি এমন ঘটলো যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি দলের অন্যতম নেতার বিরুদ্ধেই সরব হলেন? কারণ তিনি এখনো বিজেপি দলের সদস্য। এর আগেই এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করেছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তারপরেই নন্দীগ্রামের বিধায়ককে নিশানা করলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুকে পোস্টে তার বয়ান নতুন করে উস্কে দিয়েছে দলবদলের জল্পনা।
এদিন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজীব বলেন, 'বিরোধী নেতাকে বলব....যাঁর নেতৃত্ব ও যাকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসনে তাঁর প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সেই মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ না করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যহ্রাস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য করা উচিত।'
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পোস্টেই যথেষ্ট তাৎপর্য পূর্ন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে সভাবতই রাজিবের এই পোস্টের পর তৃণমূলে অন্তর্ভুক্তি করণ শুধু সময়ের অপেক্ষা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন